লেখক : মেজর আব্দুল ওহাব মিনার (অব.)প্রকাশনী : ভিন্নমাত্রা প্রকাশনীপৃষ্ঠা : ১২৮সংস্করণ : ১ম প্রকাশ, ২০২৫ভাষা : বাংলাআইএসবিএন : ৯৭৮৯৮৪৬৭২০১২৯ চব্বিশের জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলাম । স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন করে আসছি কয়েক বছর ধরে। কাকরাইল, বিজয়নগর, পল্টন, শাহবাগ, শহীদ মিনার এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ- এই জায়গাগুলোর সব ইট পাথরের সাথে পরিচিতি এবং ঘনিষ্ঠতা। তরুণ প্রজন্মের ভিন্নধারার প্রতিবাদের সাথে একাত্মা হয়ে গেলাম। ফ্যাসিজম বিরোধী ছাত্র জনতার মিছিলের সারি দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হতে শুরু করল। স্বৈরাচারের লাল চোখ, বুলেটের আঘাত, ঘাম-রক্ত-লাশ কিছুই জনসমুদ্রের ঢেউ প্রশমিত করতে পারছে না। আহত ছাত্র-জনতার সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য হাসপাতালে হাসপাতালে ছুটে বেরিয়েছি। নিহত লাশের হিসেব মিলাতে ব্যর্থ হয়েছি কিন্তু থেমে যাইনি। বিলম্বে হলেও হিসাব মিলতেই হবে। এত সব ঘটনার সামান্য কিছু ছাপার অক্ষরে লিখে রাখলাম। আরো বিস্তারিত লেখার ইচ্ছা আছে। “জুলাই বিপ্লবের মনস্তত্ত্ব” গ্রন্থটি প্রকাশের ব্যাপারে ভিন্নমাত্রা প্রকাশনীর কর্ণধার মুহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ’র আন্তরিকতা ও সার্বিক সহযোগিতা আমাকে অভিভূত করেছে। মেজর আব্দুল ওহাব মিনার (অব.) ঢাকা
Read More
লেখক : মাইদুর রহমান রুবেলপ্রকাশনী : জাতীয়তাবাদী প্রকাশনা সংস্থাপৃষ্ঠা : ৮০সংস্করণ : ১ম প্রকাশ, ২০২৫ভাষা : বাংলাআইএসবিএন : ৯৭৮৯৮৪৩৩০৮০৫২ উৎসর্গ : জুলাই অভ্যুত্থানে নিহত ও আহত সকলের উদ্দেশ্যে
Read More
লেখক: মোহাম্মদ দুদু মিয়া সরকার প্রকাশকের কথা বীর মুক্তিযোদ্ধা অবসরপ্রাপ্ত জজ মো. দুদু মিয়া সরকার এর ‘আমার দেখা একাত্তর ও ৩৬ জুলাই ২০২৪’ বইয়ের পাণ্ডুলিপিটি আদ্যপান্ত একাধিকবার পড়ার সুযোগ হয়েছে আমার। তাঁর লেখায় মুক্তিযুদ্ধের, সীমান্ত এলাকা ঝিনাইদহ এবং মুক্তিবাহিনীর দেরাদুনের (দিল্লীর) চিত্র, মুক্তিবাহিনী গঠন ও প্রবাসী সরকারের কথা সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে। লেখকের দেখা মুক্তিবাহিনী এবং মিত্রবাহিনীর যৌথ যুদ্ধের দিনগুলোর ভয়াবহ স্মৃতি ধারাবাহিকভাবে লিপিবদ্ধ হয়েছে এই গ্রন্থে। পাকিস্তানিবাহিনীর বর্বর অত্যাচারের কারণে নিরস্ত্র বাঙালিরা কীভাবে জীবনবাজি রেখে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল যুদ্ধে, স্বাধীনতার আন্দোলনে এবং কীভাবে ছিনিয়ে এনেছিলো বিজয় তার বর্ণনা বইটির পাতায় পাতায়। একাদশ শ্রেণিতে পড়ার সময় লেখক অংশ গ্রহণ করেন মহান মুক্তিযুদ্ধে। যোগ দেন মুক্তিবাহিনীতে। উচ্চতর ট্রেনিং নেন দেরাদুনে (দিল্লী)। যুদ্ধ শেষে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষাজীবন সমাপ্ত করে সহকারী জজ হিসাবে কর্মজীবন শুরু করেন। লেখক বারবার বলতে চেয়েছেন তাঁর জীবনের কঠিন মূহুর্তে শক্তি, সাহস ও প্রেরণা জুগিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ, দেশ প্রেমের মহান ব্রতে নেয়া মুক্তিবাহিনীর ট্রেনিং। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা থেকে কখনোই বিচ্যুত হননি তিনি। অবসর জীবনে কাজ করছেন সমাজ সংস্কার ও ধর্মীয় গবেষণামূলক, মুক্তিবাহিনী ও মুক্তিবাহিনীর সদস্যদের জন্য। সমাজের সুবিধাবঞ্চিত ও মামলায় জড়িত দুস্থ মানুষের জন্য। একাত্তরের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যারা মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনী সম্পর্কে গবেষণা করছেন তাদের জন্য এ বই উপকারে আসবে এ আমার বিশ্বাস। মুহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ প্রকাশক ও প্রধান নির্বাহী
Read More
লেখক : ইকবাল আহমেদপ্রকাশনী : স্বরবর্ণ প্রকাশনীপৃষ্ঠা : ৮০সংস্করণ : ১ম প্রকাশ, ২০২৫ভাষা : বাংলাআইএসবিএন : ৯৭৮৯৮৪৩৫৭১৬৫৬ ‘গুলি করে লাশ নামানো লাগছে স্যার। গুলি করি, মরে একটা, আহত হয় একটা। একটাই যায় স্যার, বাকিডি যায় না। এইটাই হলো স্যার সবচেয়ে আতঙ্কের বিষয়।’ ওরাই জেন-জেড। দু’হাত প্রসারিত করে বুক পেতে দিয়েছিল পুলিশের বন্দুকের নলের সামনে। শহরে টহলদার পুলিশের বন্দুকের সীসা ঝাঁকে ঝাঁকে এসে ঝাঁঝড়া করে দিয়েছিল তাদের বুক। ওরা পালায়নি। বুক পেতে দিয়েছে, ফুটো করে দিয়েছে কলিজা। যেন বুক তার বাংলাদেশের হৃদয়। ওরা ছিল ঝঞ্চার মতো উদ্দাম, ঝর্ণার মতো চঞ্চল, বিধাতার মতো নির্ভয়। একেকজন তরুণের বুকে বিপ্লবের আগুন এমনভাবে দাউ দাউ করে জ্বলছিল, যা শেষমেশ স্বৈরাচার হাসিনার অবৈধ ক্ষমতার মসনদ পুড়িয়ে ছারখার করে ফেলেছিল। দেশপ্রেম যে কিরকম একটা মারাত্মক নেশার রুপ ধারণ করতে পারে, সেটা ওরা রীতিমতো প্রমাণ করে দিয়েছিল। পাবজি, ফ্রি-ফায়ারে ডুবে থাকা গোটা একটা তরুণ প্রজন্ম হঠাৎ সবকিছু ছেড়ে দিয়ে দেশের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিল। ফেসবুক বানিয়ে ফেলেছিল ওরা একাত্তরের স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্র। সারারাত নির্ঘুম কাটিয়ে দিত ফেসবুক স্ক্রল করে করে, দেশের কোথায় কি হচ্ছে, শুধু এসব খবর রাখার জন্য। দলে দলে রাজপথে নেমে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ, ‘আসছে ফাল্গুনে কিন্তু আমরা দ্বিগুণ হবো।’ তারা আর ধৈর্য্য ধরল না, ফাল্গুনের অপেক্ষা করল না; ফাল্গুন আসার আগেই বহুগুনে ফিরে এলো। বন্দুকের […]
Read More
লেখক: নাহিদা আশরাফী দেশের সকল ক্রান্তিকালে ছাত্র-জনতা বারবার দাঁড়িয়েছে, ভবিষ্যতেও দাঁড়াবে। আমাদের মনে রাখতে হবে সাধারণ মানুষই সকল ক্ষমতার উৎস। এই উৎসমুখে আলোর মশাল জ্বালিয়ে রাখতে হবে যেন সব অন্ধকার দূর হয়ে যায়। রাজনৈতিক দুরদর্শিতার সাথে সাথে নেতৃবৃন্দের তিনটি বিষয়কে মাথায় রেখে দেশ পরিচালনায় এগিয়ে যেতে হবে। বিনয়- যা আপনার আত্মমর্যাদাকে সমুন্নত রাখবে, বার্তা- যা আপনাকে মানুষের কাছে উপস্থাপন করবে, ব্যবহার- যা আপনার মানবিক সৌন্দর্য প্রকাশ করবে। এই ত্রিবেণীতে দাঁড়িয়ে আমরা সকলেই আসুন মানুষ ভালোবাসি, দেশ ভালোবাসি। দেশ হলো সেই পাহাড় যেখানে আপনার ভালোবাসা বা অবজ্ঞা প্রতিধ্বনিত হয়ে বহুগুণে ফিরে আসবে আপনারই কাছে। এখন সিদ্ধান্ত আপনার আপনি দেশকে কী উপহার দিতে চান?
Read More