লেখক : মুনতাসির বিল্লাহপ্রকাশনী : কেন্দ্রবিন্দুপৃষ্ঠা : ১৭৬সংস্করণ : ১ম প্রকাশ, ২০২৫আইএসবিএন : ৯৭৮৯৮৪৯৯৬৩৭১৪ভাষা : বাংলা একদিকে ছোট্ট মেয়ে দুআর বাবাকে কাছে পাওয়ার আগ্রহ আতিশয্যে মর্মস্পর্শী চাহনি, প্রিয়তমার অশ্রুসজল চোখ, শত কিলোমিটার দূর থেকে মমতাময়ী মায়ের সতর্কবাণী অথবা দরদের সুরে পথ আটকানো; বারণ, অপরদিকে অপরিচিত নাম্বার থেকে একের পর এক সতর্কবার্তা, সবিশেষ ঝাঁঝালো গলার কঠিন হুঁশিয়ারি—আর বের হয়ো না, মরে ঝরে পড়ে থাকতে হবে— সবকিছুকে উপেক্ষা করে স্বৈরাচারকে তার শেষ হিসেব চুকিয়ে দেওয়া অথবা দেশরক্ষার তাগিদে মৃত্যুকে আরও কাছে থেকে দেখে আসার শক্তপোক্ত এরাদায় রোজ রোজ বের হচ্ছেন লেখক; জানের মায়া নেই, প্রাণের নিশ্চয়তা নেই কোনো। জুলাই বিপ্লবে ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোর মধ্যে যাত্রাবাড়ী থানা, শনির আখড়া, রায়েরবাগ, কুতুবখালির ফ্লাইওভার; এই জায়গাগুলোতেই কখনো টিয়ারগ্যাসের মুখে দাঁড়িয়ে, গ্রেনেড ব্রাস্টে গা ঝলসানোর মুহূর্ত, কখনো-বা সম্মুখযুদ্ধে বুলেটের সামনে বুক টান করে দাঁড়িয়ে থাকার কথা তুলে এনেছেন লেখক। আন্দোলনের সময় যাত্রাবাড়ী থেকে পায়ে হেঁটে এগিয়ে চলেছেন তিনি। পায়ে লেপটে আছে অপরিচিত কোনো বিপ্লবীর রক্তে ভেজা গামছা। চোখের সামনে ধোঁয়া ওঠা খাবারের বাটি। বাঁধহীন রক্তের স্রোতে অবশ হয়ে আসছে লেখকের পা, তবুও হাঁটছেন তিনি; আঙুলের ডগা হয়ে গড়িয়ে পড়ছে রক্তের ধারা। গুলি-বুলেটের আকাশ ফাটানো আওয়াজ অথবা সন্তানহারা মায়ের মর্মভেদী আর্তনাদ; অভ্যুত্থানের এই ৩৬ দিন স্বচক্ষে দেখে এসেছেন তিনি। মুনতাসির বিল্লাহ ভাইয়ের গদ্য ঝরঝরে। উপমায় থাকে নান্দনিকতার […]
Read More
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ (সম্পাদক)প্রকাশনী : দাঁড়িকমা প্রকাশনীপৃষ্ঠা : ১২৮সংস্করণ : ১ম প্রকাশ, ২০২৫ভাষা : বাংলা বাংলাদেশ কোটা সংস্কারের লক্ষ্যে ১ জুলাই ২০২৪ তারিখে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ এর যাত্রা শুরু হয়। সংগঠনটি থেকে শিক্ষার্থীরা লাগাতার কর্মসূচি দেয়। দাবি না মেনে নিয়ে ১৪ জুলাই তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার এক বক্তব্যে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ‘রাজাকারের নাতি-পুতি’ হিসেবে অভিহিত করলে এ আন্দোলন তীব্র হয়। এরপর সরকারের নির্দেশে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের উপর চালানো হয় অমানবিক নির্যাতন, গণগ্রেপ্তার, হামলা, মামলা, গুম এবং নির্বিচারে হত্যা। আন্দোলনে প্রাণহানিকে ‘জুলাই গণহত্যা’ আখ্যা দিয়ে নয় দফা দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রাখে ছাত্রজনতা। জুলাই জুড়ে আন্দোলন চলেছে, আন্দোলনের মাঝে উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে প্রাণ গিয়েছে বহু শিক্ষার্থীর। সেই কারণেই আগস্ট শুরু হলেও, নিজেদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আগস্ট মাসের দিনগুলোকেও জুলাই হিসেবে গণনা করেন বিক্ষোভকারীরা। তারপর গণ-অভ্যুত্থানের মুখে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে এবং বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেয়। আন্দোলনের সফলতাকে আন্দোলনকারীরা ‘দ্বিতীয় স্বাধীনতা’ এবং এই দিনটিকে ‘৩৬ জুলাই’ হিসেবে স্বীকৃতি দেন। ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ’ এর উদ্যোগে এবং দাঁড়িকমা প্রকাশনীর বিশেষ প্রকাশনায় রক্তক্ষয়ী সেই বিপ্লব ও বিজয়ের কবিতা সংকলন ‘৩৬ জুলাই’। ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ এই স্মারক গ্রন্থটিতে স্থান পেয়েছে আন্দোলনের স্লোগান, স্লোগানের ইতিহাস, কবিদের কবিতা এবং সমন্বয়কদের মূল্যবান মতামত ও অনুভূতি।
Read More
লেখক : আনোয়ার শাহজাহানপ্রকাশনী : কলি প্রকাশনীপৃষ্ঠা : 240, কভার : হার্ড কভার, সংস্করণ : ১ম প্রকাশ, ২০২৫আইএসবিএন : 9789843959003, ভাষা : বাংলা ২০২৪ সালের জুলাই ও আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের একটানা দেড় দশকের রাজনৈতিক শাসন ক্ষমতার অবসান ঘটে। এরপর নোবেল বিজয়ী ড. ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। তাঁরা ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার পর পরই দেশে নানা রকমের পরিবর্তন সূচিত হতে থাকে। আন্দোলনের সূত্রপাত ৫ জুন ২০২৪ থেকে শুরু করে ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের পতন এবং পরবর্তী সময়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নানা রকম সিদ্ধান্ত, সংস্কার, পরিবর্তন ও ঘটনার বিবরণ তারিখ ও তথ্যসূত্রসহ তুলে ধরা হলো।
Read More