লেখক : ফায়াজ শাহেদপ্রকাশনী : অক্ষরবৃত্ত পৃষ্ঠা : 160, কভার : পেপার ব্যাক, সংস্করণ : 1st editon, 2025আইএসবিএন : 9789849875888, ভাষা : বাংলা একাত্তর আমাদেরকে পাকিস্তান থেকে মুক্তি এনে দিয়েছে। কিন্তু এই মুক্তি হস্তচ্যুত হয়ে দিল্লির জাদুঘরে গ্লাসবন্ধি হয়ে গেছিল। প্রভুত্বের জাদুঘরে। চব্বিশ ছিল জাদুঘর ভেঙ্গে মুক্তি-ঐতিহ্য ছিনিয়ে আনবার যুদ্ধ।কেউ কেউ একাত্তর ও চব্বিশকে মুখোমুখি দাঁড় করাচ্ছেন৷ এটা ঠিক নয়। একাত্তরকে পুনরুদ্ধারের লড়াই, চব্বিশ। একাত্তরকে একজন আহত মানুষ কল্পনা করা হলে, চব্বিশ আহতের অক্সিজেন। একাত্তরকে আরোগ্য করে চব্বিশ। পূর্ণতা দেয় চব্বিশ। একাত্তর ও চব্বিশ সাংঘর্ষিক চেতনা নির্মাণ করে না। ঘাটতি পূর্ণতার ইতিহাস নির্মাণ করে। একাত্তরের ঘাটতিতে পূর্ণতা দেয় চব্বিশ। বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্বাদ দিল্লির জিহ্বা দিয়ে অনুভবের রেওয়াজই, একাত্তরের ঘাটতি। কেউ কেউ বলতে চান চব্বিশের লড়াই হাসিনা উৎখাতের লড়াই। আমি বলব, এই চিন্তা সঠিক নয়।ফটোতে আঘাত করলে কেউ শরীরে নয় হৃদয়ে ব্যথা পায়। আত্মসম্মানে গ্লানি লাগে। হাসিনা হাসিনা নয়, দিল্লির ফটো। হাসিনাকে দেখলে দিল্লি দেখা হয়ে যায়৷ এই ফটোতে যখন আঘাত লাগে, দিল্লির অন্তরফ্রেমে তখন রক্তের ঢেউ খেলে উঠে। অন্যায্যতার ঢেউ। বেহায়ার ঢেউ। বেশরমের ঢেউ। শোষণ ও বঞ্চনার ঢেউ। আধিপত্যত্ববাদের ঝনঝন শব্দের ঢেউ। সেই ঢেউয়ের ভাঁজে ভাঁজে আগুনের স্ফুলিঙ্গ ধরিয়ে দিয়েছে চব্বিশের বাংলাদেশী তরুণ প্রজন্ম। জুলাই অভ্যুত্থান ছিলো মূলত আওয়ামী লীগের দিল্লিবাদী কেরানিগিরি ধ্বংসের জিহাদ। তাই বলি, চব্বিশের লড়াই হাসিনা বিরোধিতার […]
Read More
লেখক : আফরোজা আক্তার সীমাপ্রকাশনী : জলধি পৃষ্ঠা : 60, কভার : -, সংস্করণ : ১ম প্রকাশ, ২০২৫আইএসবিএন : 9789849986546, ভাষা : বাংলা ওরে নাফিজ, ওরে কলিজার টুকরা!গুলিটা যখন বুকে এসে লাগল তখন কি মনে হচ্ছিল তোর?মায়ের মুখটা কি খুব মনে পড়ছিল?বাবাকে দেখতে মন চাইছিল?খুব পিপাসা পেয়েছিল কি?কিছু কি বলার বাকি ছিল কাউকে?খুব কষ্ট হচ্ছিল বাপজান?
Read More
লেখক: মাহবুব আলম শেখ হাসিনার শাসনামলে ভারত বাংলাদেশকে তাদের নিজেদের খাস তালুকে পরিণত করে ফেলেছিল। বানিয়ে ফেলেছিল একটা উপনিবেশ। শেখ হাসিনার পতনের মধ্য দিয়ে ভারতের সেই খাস তালুক উপনিবেশ হাতছাড়া হয়ে গেছে। বাংলাদেশের ছাত্র জনতা শেখ হাসিনাকে হটিয়ে বাংলাদেশকে ভারতের আধিপত্য ও দখল দারিত্ব থেকে মুক্ত করেছে। ফলে তালুক হারিয়ে ভারত উন্মাদ হয়ে গেছে। যা ইচ্ছে তাই বলছে, তাই করছে। আন্তর্জাতিক রীতিনীতির ধার ধারছে না। আসলে গরু হারালে কৃষকের যে অবস্থা হয় ভারতের অবস্থা হয়েছে তাই। ভারত ভাবতেই পারেনি যে, বাংলাদেশ একটা স্বাধীন সার্বভৌম দেশ, পৃথক দেশ, পৃথিবীর অষ্টম বৃহত্তম দেশ। তারুণ্যে ভরপুর দেশ। যে দেশ শেখ হাসিনার মত স্বৈরাচারি ফ্যাসিস্টকে পরাজিত করতে পারে সেই দেশ যে কী দেশ তা ভারতের বুঝার কথা না।
Read More
লেখক : মুহাম্মদ মাশায়েদ হোসেন রিফাতপ্রকাশনী : রয়েল পাবলিকেশন পৃষ্ঠা : 48, কভার : -, সংস্করণ : ১ম প্রকাশ, ২০২৫আইএসবিএন : 9789849945109, ভাষা : বাংলা চারিদিকে ফুল হত্যার প্রতিবাদে সব জয়ধ্বনি কর! রক্তিম ফুলে রাজপথে এলো কালবৈশাখির ঝড়। তাঁরা কি ফিরবে আবার কখনো এই স্বদেশ পানে? সেই মৃত্যুঞ্জয়ী শহিদের স্মরণে লিখি তাঁদের জয়গানে। ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলন, মহান মুক্তিযুদ্ধের সচিত্র, চাক্ষুস অভিজ্ঞতালব্ধ ২৪শের বিপ্লব, পাশাপাশি এ বঙ্গ ও বঙ্গের অনিন্দ্যসুন্দরি নারী, সমাজ ও জনজীবনের অন্তঃসারকে আত্মস্থ করেই এ গ্রন্থের মূল উপজীব্য বিষয়। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর ও চব্বিশের ঘাতকের নারকীয় হত্যাযজ্ঞ অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও ধর্ষণকে এক ক্যানভাসে অঙ্কন করে লেখক তাঁর অপরূপ সৃষ্টি শৈলীর নিবেদনে তিলে তিলে নির্মাণ করেছেন ‘রক্তিম ফুলেল’। তিনি এতে বীর বাঙ্গালির বীরগাথা ইতিহাস আবার বিশ্ব বিরল বাংলার গ্রামীণ পরিবেশ ও প্রকৃতি এবং বাঙ্গালি নারীর অপরূপ সৌন্দর্যকে তাঁর কবিতায় স্থান দিয়েছেন। সাবলীল ভাষায় শ্রুতিমধুর রুচিসম্মত প্রতিটা শব্দ চয়নে পুরো কাব্যটি লিখেছেন। যা পাঠক হৃদয়ে এক স্পৃহা সৃষ্টি করবে। যেই শ্রেষ্ঠ ফুলগুলো দেশের তরে প্রাণ দিল নির্ভয়ে, সেই রক্তিম ফুলগুলো থাকুক প্রতিটা পাঠক হৃদয়ে।চারিদিকে ফুল হত্যার প্রতিবাদে সব জয়ধ্বনি কর! রক্তিম ফুলে রাজপথে এলো কালবৈশাখির ঝড়। তাঁরা কি ফিরবে আবার কখনো এই স্বদেশ পানে? সেই মৃত্যুঞ্জয়ী শহিদের স্মরণে লিখি তাঁদের জয়গানে। ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলন, মহান মুক্তিযুদ্ধের সচিত্র, চাক্ষুস অভিজ্ঞতালব্ধ ২৪শের […]
Read More
লেখক: সায়ন্থ সাখাওয়াৎ বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ইতিহাসে ২০১৮ সালে শুরু হওয়া কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে ২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের দিকে পরিস্থিতি গড়ানো এবং ফ্যাসিবাদ সরকারের পতন ও পলায়নের বিষয়টি একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। ছাত্রজনতার এই ফ্যাসিবাদবিরোধী গণঅভ্যুত্থানে ছাত্ররাই সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে। কিন্তু এর পেছনে ছিল ফ্যাসিবাদ বিরোধী রাজনৈতিক শক্তির দৃঢ় সম্পৃক্ততা। এটি আসলে একটি ছাত্র ও রাজনৈতিক-জনভিত্তিক আন্দোলনের ক্রমবিকাশের উদাহরণ, যেখানে প্রথমে একটি নির্দিষ্ট সাধারণ দাবির মাধ্যমে শুরু হয়ে পরে একটি বড় সামাজিক-রাজনৈতিক প্রতিবাদের রূপ নেয়। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শুরুর দিকে ১৭ জুলাই লেখককে গ্রেফতার করে বিস্ফোরক আইনে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে পাঠানো হয়। গণহত্যা চালিয়েও শেষ রক্ষা করতে না পেরে ০৫ আগস্ট শেখ হাসিনার ভারতে পালিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে ফ্যাসিবাদের পতন হলে ০৬ আগস্ট ২০২৪ জেল থেকে মুক্তি পান। জীবনে প্রথম পুলিশের হাতে গ্রেফতার, থানা হাজত, কোর্ট হাজত ও জেলে যে অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছেন লেখক, তার বয়ানও তুলে ধরা হয়েেেছ বইটিতে।
Read More
লেখক : জান্নাতুন নাঈম প্রমীপ্রকাশনী : কলি প্রকাশনী পৃষ্ঠা : 96, কভার : হার্ড কভার, সংস্করণ : ১ম প্রকাশ, ২০২৫আইএসবিএন : 9789843959102, ভাষা : বাংলা জুলাইয়ের দিনগুলো বাংলাদেশের চব্বিশের যুদ্ধভিত্তিক এক অনবদ্য গ্রন্থ, যা রচিত হয়েছে জান্নাতুন নাঈম দ্বারা। বইটি ২০২৪ সালের জুলাই ও আগস্ট মাসের ঘটনাপ্রবাহকে কেন্দ্র করে চব্বিশের যোদ্ধাদের জীবনসংগ্রাম, যুদ্ধের ভয়াবহতা ও শত্রুপক্ষের নৃশংসতার বর্ণনা তুলে ধরেছে লেখক। এতে সেই সময়ের রাজনৈতিক ও সামরিক পরিস্থিতির বিশদ বিশ্লেষণ পাওয়া যায়। লেখক নিজে মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে নেতৃত্বের জায়গা থেকে অংশগ্রহণ করেছিলেন, তাই তাঁর লেখায় বাস্তব অভিজ্ঞতার ছোঁয়া স্পষ্ট।বইটিতে চব্বিশের যোদ্ধাদের সাহসিকতা, আত্মত্যাগ ও সাধারণ মানুষের ভূমিকা তুলে ধরা হয়েছে। বিশেষ করে, বিভিন্ন প্রত্যক্ষদর্শীর বিবরণ ও ঐতিহাসিক সংগ্রহ করা তথ্য একে আরও বিশ্বাসযোগ্য করে তুলেছে। এটি শুধু একটি বিপ্লব বিষয়ক গ্রন্থ নয়, বরং ঐ সময়ের এক জীবন্ত ইতিহাস। পাঠক বইটি পড়লে দুই হাজার চব্বিশ সালের রণাঙ্গনের বাস্তব চিত্র অনুভব করতে পারবেন। যুদ্ধের রক্তাক্ত দিনগুলোর পাশাপাশি আশা, বীরত্ব ও বিজয়ের প্রতিচ্ছবিও এতে ফুটে উঠেছে। “জুলাইয়ের দিনগুলো” এক মূল্যবান দলিল।
Read More