বুক পেতেছি গুলি কর

বুক পেতেছি গুলি করফখরুল ইসলাম

লেখক : ফখরুল ইসলাম
সম্পাদক : আজমাইন আলিফ আবরার
প্রকাশনী : প্রান্ত প্রকাশন
সংস্করণ : ১ম প্রকাশ, ২০২৫
আইএসবিএন : ৯৭৮৯৮৪৯৯৪৮৮৯৬
ভাষা : বাংলা


আসুন একটু পিছনের গল্প শোনা যাক। ২০০৬ সালের অক্টোবর মাস। মানুষকে সাপের মতো পিটিয়ে মেরে তার ওপর নাচল দুর্বৃত্তরা। এর নাম দিলেন বিপ্লব। হলো ওয়ান-ইলেভেন। আর তার ফল হলো বিগত ১৬ বছরের ফ্যাসিস্ট শাসন। তথাকথিত চেতনার সেই শাসনে দেশ হয়ে গেল লুট। আর আপনি এখন হিসাব মেলাতে এসেছেন- আগের চেয়ে আলুর কেজি কত বেশি।
রাজধানীর পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) সদর দপ্তরে ২০০৯ সালের ঘটেছিল দেশের ইতিহাসের নৃশংস হত্যাকাণ্ড। বিডিআরের বিদ্রোহে ওই সময় ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ মোট ৭৪ জনকে হত্যা করা হয়। আপনি জানলেন না এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সাথে কারা জড়িত? আপনি চুপ ছিলেন। কারণ কথা বললেই তো আপনার চেতনার বেলুন চুপসে যাবে। গত ১৬ বছরে আপনি দেখলেন ভয়ংকর সব জাদু। দেখলেন সৎ সাংবাদিক সাগর-রুনির লাশ ও একটি এতিম শিশু। নিঠুর গলায় বলতে শুনলেন- ‘কারও বেডরুমের নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব সরকারের না।’ আপনি চুপ থাকলেন। প্রথম সারির রাজনীতিবিদ ইলিয়াস আলীর গুম হওয়াটা ছিল আপনার কাছে চেতনার প্রতীক। বাবা একরামকে গুলি করে হত্যার শব্দ মোবাইলে শুনে স্ত্রী কন্যা যখন কেঁদেছিল, সেই চোখের পানিতে আপনি পেয়েছিলেন চেতনার ঝরনাধারা। আর এখন এসেছেন হিসাব মেলাতে- আগেই ভালো ছিলাম। সত্যি সেলুকাস।
২০১৩ সালের দিকে সিলেটে রাজন নামের এক গরিব শিশুকে এক ফ্যাসিস্ট দোসর দিনের আলোয় পিটিয়ে মেরে ফেলেছিল। আপনি আর খোঁজ নেননি। কারণ সেই হন্তারক ছিল আপনার চেতনার সৈনিক। একই বছর ৫ মে হেফাজতের সমাবেশে ফ্যাসিস্ট সরকারের পেটোয়া বাহিনী দিয়ে আলেম হত্যার উৎসবে মেতে উঠেছেন। এই বর্বরোচিত ঘটনা নিয়ে একটিবার ও প্রশ্ন তুললেন না।

Sorry, the comment form is closed at this time.