ব্যান্ড: কাকতাল
লিরিক্স
আগে শত্রু ছিল ভিনদেশী – কত রক্ত দিয়া মুক্তি আইসে
এহন সবাই একদেশী তাও রক্ত ঝরে রাজপথে তোমার… তোমার
তোমার হাতের কাগজ কলম- তোমার হাতের বন্দুকের গুলিতে
মরে সন্তান তোমার- বন্ধু তোমার কানতাসে-
আহারে আহারে- বলে তুমি কি করতাসো সেইটা বলো আমাদের।
রাস্তায় নামসে পুলিশ আর্মি – তোমরা তো এই দেশের জানি
হাতে ধরসো বন্দুক বোমা- সামনে দাঁড়ায় তোমার পোলা
বুকটা পাইতা দিসে দেখো হাতটা তার খালি- হায় হায় হাতটা তার খালি
তোমরা নাকি বুঝদার অনেক
দায়িত্বের ভাব দেখাও কামে
দায়িত্বটা কার প্রতি তা ভাইবা দেখসো কি?
রক্ত গরম মাথা ঠাণ্ডা কইরা দেখসো কি?
দেশটা কারো বাপের না
সরকার পরিবারের না
দেশের মালিক সব জনগন –তার মধ্যে তুমি।
আমলা- কামলা- উকিল- ডাক্তার আর্টিস্ট থেকে ইঞ্জিনিয়ার-
ছাত্র- পাত্র- বণিক – সৈনিক – সবাই নিয়ম মত দৈনিক
নাথার নাহয় হাতের শ্রমে গড়তাসে এই দেশ তারাইতো বানাইসে সরকার
তাইলে দেশটা বলো কার?
কে কার মালিক- কে কার প্রজা ভাইবা দেখসো কি?
রক্ত গরম মাথা ঠাণ্ডা কইরা দেখসো কি?
জানি,
বলবা তোমার হাত পা বাঁধা- সংসারে সন্তান-মা-বাবা
চাকরি গেলে টানবা ক্যামনে জীবনের ঘানি?
এহন বুঝলাম তোমার হাত পা বাঁধা- বাঁধসে কে? দুই একজন রাজা
বাকি সবাই এক হইলে সেই রাজা করবো কি?
জনগন সংখ্যায় তো বেশি।
“যা আছে তাও হারায় যদি”- এই ভয়ে চাটতাসো গদি
তাআইলে এখন প্রশ্ন করি কোনটার বেশি দাম?
দুই/চার দিনের জন্য ক্ষমতা – টাকা পয়সা নাকি প্রাণ?
বলো কোনটার বেশি দাম?
দুই/চার দিনের জন্য ক্ষমতা – টাকা পয়সা না সন্তান?
রক্ত গরম মাথা ঠাণ্ডা - ভাবো পরিণাম।
বলে, “মরসে সব অপদার্থ- আমরা বুদ্ধিমান!
আমি কে তুই চিনোস? তুই কি জানোস আমার নাম?
জানি অহংকারেই পতন- কইরো বিবেক পর্যবেক্ষণ
আসল খুনি কিন্তু যুক্তি না – এক কপট স্বৈরাচার -সাথে নাম লেখা তোমার।
এখন কি হবে তোমার?
এখন কি হবে তোমার সন্তানের?
কি হবে তোমার?
যদি গুলি খাইয়া পইড়া থাকে কে করবে বিচার?
নাই তো তোমার অধিকার – নাই তো কারো অধিকার!
এসবের দায়টা বলো কার- এ দায় আমাদের সবার- তার চেয়ে বেশি যে তোমার।
ভাবো -কে কারে কিভাবে করসে ব্যবহার …
রক্ত গরম মাথা ঠাণ্ডা কইরা বারেবার।
জনগণ তো শান্তি চায়- সবাই তো অধিকার চায়
তাতে বাঁধা দিলে বলো মাইনা নিবে ক্যান?
বলো মাইনা নিবে ক্যান?
যারা শান্তি কাইড়া ন্যয্য কথা কইলে মাইরা দিবে
তাদের সাথে কিসের আলাপ কিসের এত সন্ধি—
স্বাধীন দেশে আমরা সবাই আইজও কেন বন্দী!
স্বাধীন দেশে আমরা সবাই আইজও কেন বন্দী!
রক্ত গরম মাথা ঠাণ্ডা কইরা ভাবসো কি?
আরও অনেক প্রশ্ন আছে- বুঝলাম পরিবর্তন আসবে
কিন্তু তারপর কি? অল্টারনেটিভ কি?
আবার একই সিস্টেম- বস্তা পচা ফাইজলামি?
আগের কথা শুনলে বুঝতেন কি কইতে চাইসি
সরকার মানে লিডার না ভাই – সরকার হইল আমরা সবাই
যার যার কাজ ঠিক মত করলে কে করবে ক্ষতি?
বলো কে করবে ক্ষতি?
রক্ত গরম মাথা ঠাণ্ডা কইরা ভাবসো কি?
আচ্ছা ঠিক ঠাক বুঝলাম সবই– এখন কি কাজ করতে পারি?
খালি হাতে রাস্তায় নাইমা যদি খাই গুলি?
হা হা- গুলি করার কেউ না থাকলে কে করবে গুলি?
আপনি যদি না করেন তো কে করবে গুলি?
আপনি যদি না বলেন তো কে করবে গুলি?
রাস্তায় ছাড়াও কাম আসে?
যাবেন যার যার অফিসে
উলটা পালটা অর্ডার আইলে করবেন না কাম- শোপিসের
দুর্নীতিটা বাদ দেন এইবার – সময় আসল নীতি ধরবার
মাইনষের ক্ষতি করলে সেইটা নিজের হইয়া যায়
ভাইরে, নিজের হইয়া যায়।
সবাই মিলে আওয়াজ তুলেন- অধিকারের কথা বলেন
কথার সাথে কাজ মিলান আর সবার সাথে হাত । তারপর
যার যার জায়গায় চর্চা করেন আসল সম্প্রীতি।
নাইলে ছাইড়া দেন চাকরি।
আজকে নাইলে কালকে জিতবেন
নিজেদের সম্মান বাঁচাইবেন
নিজের সন্তান দাম না দিলে সম্মান আবার কি?
বলেন সম্মান আবার কি?
বিবেক বুদ্ধির জবাব কি?
রক্ত গরম মাথা ঠাণ্ডা কইরা ভাবসেন কি?
তাই
রক্ত গরম – মাথা ঠাণ্ডা
পথ অনেক বাকি- পথে শত্রু কুচক্রী
আমরা আমরা কিসের লড়াই
এক্টাই তো জাতি- একই তো দাবি-
চাই অধিকার- চাই সুবিচার
সবাই চায় শান্তি- সবাই চায় মুক্তি
অমানুষের দুঃশাসনের
পতন ইস লোডিং
মনুষ্যত্বের আধিপত্যে
আসুক নতুন দিন।
রক্ত গরম – মাথা ঠাণ্ডা কইরা ধর হাল
আর দেরী নাই- ওই দেখা যায়- সূর্য রক্ত লাল।
Sorry, the comment form is closed at this time.