লেখক: তানজিম সৌরভ জুলাই, বাংলাদেশের জাতীয় জীবনে অনেকখানি জায়গাজুড়ে আছে। তুমি কে? আমি কে? বইটিতে লেখক একজন সক্রিয় আন্দোলনকারী হিসেবে যেসব অভিজ্ঞতা, শঙ্কা ও রোমাঞ্চের ভিতর দিয়ে গেছেন তারই চিত্রায়ন করেছেন একান্ত সোজা বাংলায়। জুলাই আন্দোলন থেকে জুলাই অভ্যুত্থানের পটপরিবর্তনে লেখক শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সক্রিয় ছিলেন। এখানে শুধু আন্দোলনকালীন ব্যাপারই উঠে আসে নি, বরং ৫ আগষ্টে হাসিনার পতন পরবর্তী বাংলাদেশের ইতিহাসে তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনাগুলোও মলাটবদ্ধ করা হয়েছে। এই বইয়ে পুরো ইতিহাস তুলে আনে নি ঠিক-ই, তবে যতটুকু সেই সময়কার ইতিহাস তুলে এনেছে তা নিঃসন্দেহে নির্জলা, মেদহীন সত্য। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ১৫ জুলাইয়ের নির্মম হামলার স্বীকার লামিয়ার জবানবন্দি বইটির গুরুত্ব আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। লেখক ১৭ জুলাই পর্যন্ত ক্যাম্পাসে আন্দোলন চালিয়ে যান, পরবর্তীতে পুলিশি হয়রানিতে বাধ্য হয়ে নিজ জেলা নোয়াখালী ফিরে যান। সেখানে ৫ আগষ্ট পর্যন্ত চলমান আন্দোলনে অংশ নেন। বইটিতে সেইসব অভিজ্ঞতাও স্থান পেয়েছে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের হল সংস্কৃতির অন্ধকার দিক, গণরুম ও গেষ্টরুমের নোংড়া বাস্তবতাও তুলে ধরা হয়েছে, যা পাঠককে ভাবিয়ে তুলবে মানবসভ্যতার আড়ালের কিছু হিসেবে। এই বই শুধু একটি আন্দোলনের ইতিহাস নয়, বরং জুলাইয়ের ভাঁজে ভাঁজে ঘটে যাওয়া ঘটনার প্রতি একজন আন্দোলনকারীর নিজস্ব অভিজ্ঞতা ও উপলব্ধির মেলবন্ধন। পাঠক এই বই পড়তে পড়তে টাইমট্রাভেলে ফিরে যাবেন পৃথিবীর সবচেয়ে দীর্ঘ রক্তাক্ত জুলাইয়ে, আগষ্ট সেখানে বিজয়ের মাস।
Read More
লেখক : রহিমা আক্তার মৌপ্রকাশনী : কলি প্রকাশনী পৃষ্ঠা : 264, কভার : –, সংস্করণ : ১ম প্রকাশ, ২০২৫আইএসবিএন : 9789843959010, ভাষা : বাংলা ভূমিকা নয়, চব্বিশে নারীর দ্রোহের বারুদে জ্বলে ওঠার গল্পগাথা ইতিহাস ও মানব সভ্যতা হাত ধরাধরি করে চলে। ইতিহাস নানাভাবে সংজ্ঞায়িত হয়েছে। সহজ করে বললে, ‘ইতিহাস’ হলো কালক্রম রচনা ও অধ্যয়ন। অতীতের ঘটনাগুলোর পাশাপাশি স্মৃতি, আবিষ্কার, সংগ্রহ, সংগঠন, উপস্থাপনা এবং এই ঘটনাগুলোর ব্যাখ্যা নিয়ে ইতিহাস গঠিত হয়। ইতিহাসের আলেখ্য তাই সভ্যতার মূল্যবান সম্পদ। ইতিহাসের কোনো রং নেই। ইতিহাস রচনায় নিরপেক্ষ থাকাটা ন্যায্যতার দাবি। রং মাখানো ইতিহাস আবর্জনা বৈ কিছু নয়। হাই হিল জুতো আবিষ্কার হয়েছিল পুরুষের প্রয়োজনে, কিন্তু ব্যবহারের আধিক্যে সে ইতিহাস ‘অচল’ হয়ে গেছে। এখন সবাই মনে করে, ‘ইউনিসেক্স’ তথা নারীকে আকর্ষণীয় করে তোলার জন্যই বোধ হয় কোনো এক ‘সহৃদয়বান’ বিজ্ঞানী হাই হিল জুতো উদ্ভাবন করেছেন! ইতিহাসকে তাই সমকালে লিখতে হয়, নইলে তার চ্যুতি ঘটা ইতিহাসেরই শিক্ষা। বর্তমান ‘চব্বিশের কন্যারা’ গ্রন্থটির জন্য লেখিকা রহিমা আক্তার মৌ নিঃসন্দেহে ধন্যবাদ পাবার যোগ্য। ইতোমধ্যে তাঁর যে পাঠকশ্রেণি তৈরি হয়েছে, গ্রন্থটি তাদের হতাশ করবে না বোধ করি। ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’, ‘বাংলা বিপ্লব’ কিংবা ‘বাংলা বসন্ত’ – বাংলাদেশের রাজনৈতিক গতিধারা নির্ধারণের সর্বশেষ আন্দোলন। ঘটনা পরম্পরায় সর্বশেষ হলেও বাংলাদেশের ইতিহাসে অন্যতম তাৎপর্যপূর্ণ আন্দোলন বলে বিবেচিত হচ্ছে। প্রেক্ষাপটের গভীরে গেলে বুঝতে কষ্ট হয় না, […]
Read More
লেখক: মোঃ মোস্তফা জামান সূর্য যদি তার দায়িত্ব যথাযথ পালন না করে বলত আজকে আমি পূর্ব দিক থেকে উদিত না হয়ে পশ্চিম দিক হতে উদিত হব; তবে আল্লাহর সৃষ্টি রাজ্যের সর্বত্র শৃঙ্খলা বিরাজ করলে ও শুধুমাত্র মানব রাজ্যেই এর ব্যতিক্রম । এখানে ক্ষমতাধররা সর্বত্রই বিশৃঙ্খলা সৃ্ষ্টি করে রাখে ।
Read More
প্রকাশনী : সময়ের সুর প্রকাশন ফাতেমাতুন নূর (সম্পাদক) পৃষ্ঠা : 96, কভার : –, সংস্করণ : ১ম প্রকাশ, ২০২৪আইএসবিএন : 9789849514244, ভাষা : বাংলা প্রকাশকের কথাবাংলাদেশের নবীন ও প্রবীণ কবিগণের সমন্বয়ে রচিত সংকলনটির প্রতিটি কবিতা ও গল্প আমার হৃদয়কে স্পর্শ করেছে। গণবিস্ফোরণের ৩৬ দিনকে কেন্দ্র করে পরিপূর্ণ বইটির প্রতিটি পাতা । সম্মানিত কবিগণ নিজ দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার সাথে বইটির প্রতিটি কবিতা ও গল্প লিখেছেন। হাজারো শহীদ ভাই ও বোনের ত্যাগের বিনিময়ে এই প্রাপ্তি বাংলাদেশের। আমরা কখনো ভুলব না ওই সব যোদ্ধাদের যাঁরা নিঃস্বার্থভাবে কাজ করেছেন এবং করে যাচ্ছেন।সময়ের সুর প্রকাশন কর্তৃক সম্পাদিত গ্রন্থ “গণবিস্ফোরণের ৩৬ দিন আমরা তোমাদের ভুলব না”। আমি মনে করি সংকলনটি আমার মতো প্রতিটি পাঠকের হৃদয় স্পর্শ করবে এবং যুগ-যুগান্তর হাজার বছর ধরে পাঠকের মন জয় করবে এবং বাংলাদেশের সকল কবিদের অন্য ভাবে উপস্থাপন করতে সক্ষম হবে। বইটির প্রতিটি লেখা লেখক সংরক্ষিত। কেউ কোনো লাইন কপি করতে পারবে না। যদি কেউ করে তাহলে আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে। সময়ের সুর প্রকাশন সত্যের প্রতীক হয়ে দাঁড়াতে চায়। এ সত্যকে প্রতিষ্ঠিত রূপ দিতে কবিগণ আমাদের পাশে থেকে স্বরচিত কবিতা ও গল্প জমা দিয়ে অনুপ্রাণিত করেছেন। তাঁদের প্রতি রইল অশেষ কৃতজ্ঞতা ও শুভ কামনা।
Read More
লেখক: ড. মুহা. কামরুজ্জামান বইটির শুরুতেই ৩৬ জুলাইয়ের বীর বিপ্লবীদের স্যালুট জানানো হয়েছে। এই বীর নায়কদের নেতৃত্বেই সংঘটিত হয়েছে এ বিপ্লব। আর সংঘটিত বিপ্লবটি ছিল অভাবনীয়, অকল্পনীয় ও দুর্দমনীয়। এ বিপ্লবের নায়করা হলেন বাংলার তরুণ-তরুণী ও কিশোর-কিশোরীরা। পৃথিবীর ইতিহাসে এসব বীরের নাম লেখা হয়ে গেছে স্বর্ণাক্ষরে। তারা পৃথিবীকে কাঁপিয়েছে, বাঙালিদের জাগিয়েছে, জাতির ঘুম ভাঙিয়েছে এবং জালিমকে থামিয়েছে। বিপ্লব সংঘটিত হওয়ার পরও এই তরুণরা বসে নেই। বিপ্লব নস্যাতে সম্ভাব্য সব ষড়যন্ত্র রুখে দিতে তারা অতন্দ্র প্রহরীর মতো কাজ করে যাচ্ছে। বইটিতে মোট ২৬টি কলাম সংযোজিত হয়েছে। প্রতিটি কলামে প্রিয় মাতৃভ‚মির স্বকীয়তা ও স্বাধীনতার হুমকির বিষয়ে দৃষ্টিপাত করা হয়েছে। এ ব্যাপারে সরকার ও দেশবাসীকে সচেতন ও সতর্ক হতে আহ্বান জানানো হয়েছে। বাংলাদেশের একমাত্র কাছের প্রতিবেশী হলো ভারত। গত ৫৩ বছর ধরে আমরা দেশটিকে বন্ধু ভেবে এসেছি। কিন্তু আগস্ট বিপ্লবের পর জাতির সামনে ভারতের মুখোশ উন্মোচিত হয়েছে। তারা বাংলাদেশের বন্ধু নয়। তারা শুধু আওয়ামী লীগের বন্ধু। বাংলাদেশে ২০২৪ সাল পর্যন্ত নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সংখ্যা ৫৩টি। এই ৫৩টি দলের ৫২টিই আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদী নীতির বিরোধী।
Read More
লেখক : এইচ বি রিতাপ্রকাশনী : ঘাসফুল পৃষ্ঠা : 984, কভার : –, সংস্করণ : ১ম প্রকাশ, ২০২৫আইএসবিএন : 9789849999775, ভাষা : বাংলা ২০২৪ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলন ছিল অন্যায়, বৈষম্য ও স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে এক সর্বাত্মক গণজাগরণ। ৩৬ দিনের এই লড়াই, নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগ, রক্তাক্ত রাজপথ এবং স্বৈরশাসকের পতন- সবকিছু মিলিয়ে ৫ আগস্ট ২০২৪, এক নতুন ইতিহাসের জন্ম দিয়েছে। ‘২৪-এর জুলাই ছাত্র-জনতার আন্দোলন’ বইটি এইচ বি রিতা’র লেখা সেই রক্তাক্ত অধ্যায়ের এক সুসংগঠিত প্রামাণ্য দলিল। এইচ বি রিতা, দীর্ঘ ২৬ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে বাস করলেও, মনেপ্রাণে দেশের জন্য নিবেদিত। তাই তিনি ছাত্র জনতার আন্দোলনের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকেই কলম ধরেছেন, যেখানে উঠে এসেছে আন্দোলনের প্রতিটি মুহূর্তের নির্মম বাস্তবতা, রাষ্ট্রের দমন-পীড়ন, শিক্ষার্থীদের বীরত্ব এবং লিপিবদ্ধ হয়েছে গণজাগরণের চূড়ান্ত রূপটি। ‘২৪-এর জুলাই ছাত্র-জনতার আন্দোলন’ আমাদের জানান দেয়, একটি সুশৃঙ্খল, ন্যায়ভিত্তিক সমাজে বসবাস করা কতটা জরুরি এবং ন্যায়বিচার ও বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য কীভাবে অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো যায়। বইটিতে লেখকের অন্তর্দৃষ্টি, পর্যবেক্ষণ, উপলদ্ধি, ব্যাখ্যা বিশ্লেষণের মাধ্যমে পাঠক খুঁজে পাবেন আন্দোলনের গভীর বাস্তবতা, রাষ্ট্রের দমননীতি ও প্রতিরোধ, আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া ও অভ্যন্তরীণ রাজনীতি এবং রক্তাক্ত অধ্যায় পেরিয়ে কীভাবে ছাত্র জনতার আন্দোলন সফলতা পেল- তার এক পূর্ণাঙ্গ চিত্র।
Read More
লেখক: তানি জেসমিন জুলাই আন্দোলনের ওপর চলমান ঘটনা নিয়ে ফটোগ্রাফির বই। ফটোগ্রাফির মাধ্যমে পুরো আন্দোলনের সময়টা তুলে ধরা হয়েছে। যেখানে ঘটনাগুলোকে ছবির মাধ্যমে তারিখের ক্রমানুসারে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
Read More