লেখক : রওশন হকপ্রকাশনী : গল্পকার পৃষ্ঠা : 200, কভার : -, সংস্করণ : ১ম প্রকাশ, ২০২৫আইএসবিএন : 9789849978664, ভাষা : বাংলা বাংলাদেশে চাকরিতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন সর্বক্ষেত্রে সরকারেরঅন্যায় আর নিপীড়নের বিরুদ্ধে গণআন্দোলনে রূপ নেয়। গণতান্ত্রিকরাষ্ট্রে কোথাও কোথাও বৈষম্য থাকে না তা নয়, কিন্তু তা করা হয় সূক্ষ্মভাবে।ধরা যাক, মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে এমন কোনোশর্ত জুড়ে দেওয়া হলো, যা বিশেষ কোনো বর্ণের বা এলাকার শিক্ষার্থীদেরবিশেষ সুবিধা দেবে বা কোনো বিশেষ গোষ্ঠীকে অসুবিধায় ফেলবে। কিন্তুবাংলাদেশে সরকার যখন একটা বিশেষ এলাকার এবং বিশেষ রাজনৈতিকঘরানার মানুষদের নগড়বভাবে অর্থনৈতিক সুবিধা দেয়, তাদের হাতে তুলে দেয়চাকরি ও ব্যবসা, তখন আর তা বৈষম্য থাকে না, হয়ে যায় স্পষ্ট দুঃশাসন।ভিনড়বমতকে দমন করার দানবীয় কৌশলগুলো মানুষকে আতঙ্কতি ও অসহায়করে তোলে। এটা চলতে থাকে দিনের পর দিন।দেশের রাজনৈতিক সরকারগুলো গণতন্ত্রের কথা, মানুষের ভোটের অধিকারেরকথা বলে রাস্তা আর মঞ্চ গরম করে, কিন্তু ক্ষমতায় গিয়েই তৈরি করতেথাকে একতরফা নির্বাচনের পথ। ভোট ছাড়া ভোট হয়। ভয় হয়। মানুষযেন নিঃশ্বাস নিতে পারছিল না। দল, সরকার, পুলিশ, প্রশাসনÑ সবাইএকযোগে মানুষকে নিপীড়ন করেছে, জেলে ঢুকিয়েছে, লুটপাট করেছে আরকোটি কোটি ডলার পাচার করেছে।এ অবস্থায় ছাত্রছাত্রীদের এই আন্দোলনের গুরুত্ব বা এর অভিমুখ সরকারবুঝতে পারেনি। বুঝতে পারেনি বললে ভুল হবে, বুঝতে চায়নি। কারণদেশের মানুষকে বুঝতে না চাওয়াটাই সরকারের নীতি হয়ে উঠেছিল।তাদের অনমনীয়তা আর মিথ্যাচার শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অভিভাবক […]
Read More
লেখক : মোঃ নাছিম প্রাং (সম্পাদক)প্রকাশনী : ইচ্ছাশক্তি প্রকাশনী পৃষ্ঠা : 256, কভার : হার্ড কভার, সংস্করণ : প্রথম প্রকাশ, 2024আইএসবিএন : 9789843601865, ভাষা : বাংলা আসসালামু আলাইকুম। কবি সাহিত্যিক শিল্পী তথা বাঙালী সংস্কৃতির বিকাশ ও সাহিত্য- চর্চার এক অনন্য মেল বন্ধন ‘ইচ্ছাশক্তি সাহিত্য পরিবার” প্লাটফর্মটি। কতিপয় মহৎ প্রাণ ব্যক্তির ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও প্রেমময় সন্দীপনায় এই প্লাটফর্মটি হাটি হাটি পা পা করে আজ তিন বছরে পদার্পণ করলো। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে যারা মেধা মনন বিকশিত করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সৃজনশীল অবদান রেখে আসছেন, প্লাটফর্মটির প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে এবং পরিচালনা পরিষদের পক্ষ থেকে আমি তাঁদের-কে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। উল্লেখ্য, ‘চব্বিশের গণবিস্ফোরণ আমাদের পঞ্চম যৌথ কাব্য সংকলন। আমাদের প্রকাশিত এই সংকলনটিও সকল কবি এবং লেখকদের সমুদ্দীপ্ত করবে এ আমার দৃঢ় বিশ্বাস। প্লাটফর্মটি দীর্ঘপরিক্রমায় অনেক চড়াই-উৎরাই অতিক্রম করে আজ স্বপ্নময় সুন্দরের স্পর্শ পেয়েছে। সকলের সার্বিক সহযোগিতায় ‘ইচ্ছাশক্তি সাহিত্য পরিবার প্লাটফর্মটির মান ব্যাপকভাবে প্রসারিত হয়েছে, আগামীতেও হবে ইনশাল্লাহ। ইতোমধ্যে আমাদের কিছু প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে এবং অল্প সময়ের মধ্যে আরো অনেক আশা আমাদের পূরণ হবে বলে আমি আশাবাদী। এই প্লাটফর্মটি একটি সর্বোচ্চ অনলাইন প্লাটফর্ম হিসাবে গড়ে তোলার স্বপ্ন লালন-পালন করি আমরা। সবার প্রতি কৃতজ্ঞ, যারা কার্যকরী পরিষদে আমাদের সহযোদ্ধা হিসাবে আলোকিত। যারা সাহিত্য প্রেমী, তারা প্লাটফর্মটিকে ভালোবেসে অগ্রণী করে তুলেছেন। আপনাদের প্রতিদিনের সুন্দর ও গঠনমূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে আমি […]
Read More
লেখক: রিদওয়ান নোমানী ঘুমের মধ্যেও গুলিবিদ্ধ হওয়ার দিনে-কবিতার মুখোমুখি হতে গিয়ে দেখেছি কবিতা আর ভীত-সন্ত্রস্ত নেই, কবিতারা আমার মতোই সাহসী। এক একটি শব্দ বিজয় ছিনিয়ে আনতে তৎপর। কবিতা মনের খোরাক, তাই মনের আঙিনায় তারাও করেছে অভ্যুত্থান। সংগ্রাম থেকে ফেরা রাতগুলোতে কবিতারা দখলের আকাক্সক্ষায় ঝাপিয়ে পড়ত। যেন এখনই সময় সুতীব্র উচ্চারণের। আমি সংগ্রামের সাহসী যোদ্ধা, আমার সাহস আর ক্রোধকে ধারণ করতে চাইত কবিতা। চার শতাধিক পুলিশের তাক করা বন্দুকের সামনে হাঁটু গেড়ে বসতে গিয়ে একজন কবিকে দেখি। কবির চোখের সন্ত্রাসে ভীত-সন্ত্রস্ত বন্দুক কীভাবে থতমত খায়!সংগ্রামের কবিতা দেখতে কেমন, এসব আমি কিছুই বলব না। আমি বলব যোদ্ধাদের সাহসী উচ্চারণই কবিতা। ‘পিছনে পুলিশ, সামনে স্বাধীনতা!’ মাঠের সেøাগানগুলোই এক একটি কবিতা। তারপরও কবিতার যেহেতু একটি গোত্র, বর্ণ আছে। তাকে শাসন করার জন্য একজন কবি আছে। তাই দেখতে চেয়েছি বা দেখাতে চাচ্ছি এ সময়ের কবিতারা কীভাবে সংগ্রামের সামনে দাঁড়িয়েছে? ‘হারগুঁজি’ দক্ষিণাঞ্চলের একটি কাঁটাযুক্ত পাতার নাম। এর আক্ষরিক অর্থ গলার কাঁটা, যা আমার বৈশিষ্টকেই ধারণ করে। দুই বছর আগে ‘হারগুঁজি’ কবিতার ছোটকাগজ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। যদিও গত দুই বছরে আর কোনো সংখ্যা বের হয়নি। এবার হারগুঁজি তার স্ব কাজে ফিরে এসেছে। সংগ্রামের সময় লেখা কবিতা অর্থাৎ ‘৩৬জুলাই গণঅভ্যুত্থান সংখ্যা’টি তারই নমুনা।
Read More
লেখক : -এস এম বিপাশ আনোয়ার (সম্পাদক)প্রকাশনী : টি এ্যান্ড টি পাবলিশার্স এ্যান্ড প্রিন্টিং পৃষ্ঠা : 587, কভার : -, সংস্করণ : ১ম প্রকাশ, ২০২৪ভাষা : বাংলা জুলাই বিপ্লবের রক্তাক্ত দলিল মূলত একটি পেপার ডকুমেন্টারি। ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট ৩৬ দিন সারা বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার যে আন্দোলন চলছিল সেই সমস্ত আন্দোলনের খবরাখবর, ছবি, বিশ্লেষণ, মন্তব্য, সম্পাদকীয়, উপ-সম্পাদকীয়, বাংলাদেশের এবং বিদেশের বিভিন্ন সংস্থার রিপোর্ট, বিশ্লেষণ, মন্তব্যসহ বাস্তব ঘটনা বাংলাদেশের বিভিন্ন কাগজে প্রকাশিত হয়েছিল। সেই সকল প্রকাশিত সংবাদাদী নিয়ে এই বই ৫টি খণ্ডে এবং ১১টি অধ্যায়ে ভাগ করে প্রকাশ হতে যাচ্ছে। কোটাআন্দোলন থেকে ফ্যাসিস্ট বিরোধী আন্দোলনে সফল হওয়ার সংবাদ যেমন এই বইতে আছে তেমনি আন্দোলন কারীদের বিরুদ্ধে হাসিনা সরকার ও তার দোসর ছাত্রলীগ যুবলীগ তথা হ্যালমেট বাহিনীর অত্যাচারের সংবাদ এবং ছবিও এই বইতে আছে।
Read More
লেখক : মাহমুদ রাকিবপ্রকাশনী : গার্ডিয়ান পাবলিকেশন্সপৃষ্ঠা : 176আইএসবিএন : 978-984-99977-4-0 Echoes of Red July: The 2024 Uprising in Bangladesh delves into the pulse of a nation in revolt, tracing the path of a fiery struggle for justice, equality, and political reform. Through compelling narratives and sharp analysis, this book explores the dramatic protests that shook the streets, their aftermath, and the enduring impact on Bangladesh’s socio-political fabric. A vivid reflection of resilience, hope, and the unyielding desire for change, Echoes of Red July invites readers to witness a pivotal moment in history where the cries for justice echoed far beyond the streets of Dhaka.
Read More
লেখক : ফারজানা মাহবুবাপ্রকাশনী : ঐতিহ্য পৃষ্ঠা : 112, কভার : হার্ড কভার, সংস্করণ : 1st Published, 2025আইএসবিএন : 9789849969372, ভাষা : বাংলা ৩৬ জুলাই ২০২৪। তখনো কেউ শিউর না হাসিনা কি সত্যি পালিয়েছে কি না। আমরা প্রচণ্ড কনফিউশন নিয়ে স্ক্রিনের সাথে লেগে আছি! এর মধ্যে হোয়াটস্অ্যাপে নাদিয়ার ভিডিও মেসেজ আসল। ভিডিওতে দেখি ওর এক পায়ে জুতা আছে, আরেক পায়ে নাই! নাদিয়ার এক পায়ের জুতা ভিড়ে হারিয়ে গেছে। এই অবস্থাতেই নাদিয়া ভিড়ের সাথে বিজয়মিছিলে হাঁটছে, খুশিতে দৌড়াচ্ছে!এদিকে সিডনিতে মিষ্টির দোকানগুলোতে মিষ্টি শেষ! আমি তখনো বিশ্বাস করতে পারছিলাম না বাংলাদেশের দ্বিতীয় স্বাধীনতা যুদ্ধ সত্যি সত্যি শেষ হয়েছে! স্বাধীনতা আসলেই এসেছে! এই বই জুলাইয়ের সেই অবিশ্বাস্য দিনগুলোতে আমাদের অনলাইন একটিভিজমের গল্প। এই বই সেই সময়ের গল্প যখন দেশ স্বাধীন হলে মানুষ খুশিতে এক পায়ে জুতা নিয়েই বিজয় মিছিলে দৌড়ায়!
Read More
লেখক: বকুল আশরাফপ্রকাশনী: জাগতিক প্রকাশন “রক্তাক্ত জুলাই” বকুল আশরাফ সম্পাদিত একটি গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ। এটি ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ একটি অধ্যায় তুলে ধরেছে, যেখানে বাংলাদেশের জনগণের সংগ্রাম, ত্যাগ, এবং রক্তাক্ত ঘটনার স্মৃতি লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। রক্তাক্ত জুলাই (Roktakto July) বকুল আশরাফের একটি অনন্য সাহিত্যকর্ম, যা বাংলাদেশের ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়কে কেন্দ্র করে রচিত। বইটি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিতে রচিত এবং তৎকালীন সময়ের ভয়াবহতা, সংগ্রাম, এবং মানুষের অবর্ণনীয় ত্যাগকে গভীরভাবে ফুটিয়ে তুলেছে। লেখক তাঁর বিশদ বর্ণনা এবং আবেগপূর্ণ শব্দচয়ন দ্বারা পাঠকদের সেই রক্তাক্ত সময়ের অনুভূতিতে নিয়ে যান। এই বইটি শুধু একটি ঐতিহাসিক দলিল নয়, এটি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং স্বাধীনতার মূল্য উপলব্ধি করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ রচনা।
Read More
লেখক : ওয়াসি আহমেদপ্রকাশনী : বুক স্ট্রিট পৃষ্ঠা : 720, কভার : -, সংস্করণ : 1stআইএসবিএন : 9789849936305, ভাষা : – বাংলা এই সংকলনটি প্রয়োজনীয়, কারণ আমাদের স্মৃতি বিশ্বাসঘাতক। দৈনন্দিন জীবন আমাদের ওপর অবিরাম এবং নির্দয়ভাবে অধিকার খাটায়। ইতিহাসকে বিলাসিতায় পর্যবসিত করতে চায়।কিন্তু অতীতের অস্তিত্ব অস্বীকার করে যে বর্তমান, সে বর্তমান বেজন্মা। দৈনন্দিন সমস্যা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হবে আজ আমরা যে বাজার এবং বিদ্যুৎ নিয়ে ভাবার সুযোগ পাচ্ছি, তা পেয়েছি তরুণ রক্তের বিনিময়ে। আমাদের যাদের জীবন বা অঙ্গ আন্দোলনে হারাতে হয়নি, তাদের জন্য আন্দোলনকে এখনই দূরের অতীত মনে হতে পারে। আধুনিক জীবনের ব্যতিব্যস্ততায় কয়েক মাসকে কয়েক বছর মনে হতেই পারে।এ জন্যই সংকলনটি প্রয়োজনীয়। এখানের লেখাগুলো আমাদের মনে করিয়ে দেবে কেন সমগ্র বাংলাদেশ ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে একস্বরে শ্লোগান দিচ্ছিলো। কেন রাস্তা ছিল তাজা রক্তে মাখামাখি, কেন প্রতি ঘরে প্রতিটি মানুষের শ্বাসরোধ করছিলো তথ্যের অমানিশা এবং চাপা উৎকণ্ঠা, কেন সারাদেশের মানুষ কাঁধে কাঁধ রেখে এগিয়ে চলেছিল রাজধানীর উদ্দেশ্যে।এ সংকলন প্রয়োজনীয়, কারণ এই পাতাগুলো উলটিয়ে দেখলে আমাদের মনে পড়ে যাবে বাংলাদেশিদের আসল পরিচয়। বাংলাদেশিরা হচ্ছে সেই জাতি, যারা স্বৈরাচারের সামনে পরাজয় মানে না, কোনোদিন মানেনি।
Read More