বোধের অভ্যুত্থান

বোধের অভ্যুত্থান

লেখক: রাকিবুল এহছান মিনার


আঁধারকে ছিন্ন করে আলোর উদ্ভাসন চিরন্তন। কখনো আঁধারের ব্যাপ্তি দীর্ঘ হয়, আবার কখনো-বা স্বল্প সময়ের ঘূর্ণিতেই ভোরের আলো ছিন্ন করে সোনালি প্রভাত আসে। এটাই সত্য যে, আলোর আগমনকে কেউ বেঁধে রাখতে পারে না কোনো বন্ধনীতে। প্রতিপক্ষ হিসেবে থাক না কোনো মিশরের ফেরাউন কিংবা বাংলাদেশের কোনো বাকশালী-স্বৈরাচারী!

.

জাতি হিসেবে আমাদেরকে বারবার জীবন ও রক্ত দিতে হয়েছে ঐতিহাসিকভাবেই। অধিকার আদায়ের প্রশ্নে এই ভূখণ্ডের জনগোষ্ঠী বরাবরই আপোষহীন। যখনই কোনো অপশক্তি আমাদেরকে থাবা দিতে এসেছে, আমরা রুখে দাঁড়িয়েছি নিজেদের সর্বোচ্চ শক্তিটুকু দিয়ে; যার সর্বশেষ নজির আমাদের ‘জুলাই বিপ্লব’।

.

আমাদের ছাত্রজনতার দ্বিধাহীন আত্মত্যাগ বৃথা যেতে পারে না। আবু সাঈদ, মুগ্ধ, ওয়াসিম, শান্ত ও আলী রায়হানদের স্বপ্ন এবং প্রত্যাশাগুলো খণ্ডিত হতে পারে না। আমাদের চেতনায় জুলাইকে ভাস্বর রাখা অনিবার্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফ্যাসিস্টের কালো ছায়া যেন ইতিহাস-ঐতিহ্যে মহীয়ান আমাদের এই বাংলাদেশে আর না পড়ে।

.

সেই যুগচাহিদা ও ঐতিহাসিক প্রয়োজনকে সামনে রেখে সাহিত্য রচনাও আমাদের দায়িত্বের পর্যায়ভুক্ত বলে মনে করি। সাহিত্যের মধ্য দিয়েই বস্তুত বেঁচে থাকে ইতিহাস, স্পিরিট, শহীদের আকাঙ্ক্ষা, ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয় আর এগিয়ে যাওয়ার দুর্বার স্পৃহা। সেই দায়িত্বই পালন করে চলেছেন বর্তমান সময়ের তুমুল জনপ্রিয় তরুণ কবি ও গীতিকার রাকিবুল এহছান মিনার। তার কবিতা এবং গানের মাধ্যমে জুলাই বিপ্লবেও ছাত্রজনতা উজ্জীবিত হয়েছে।

.

স্বৈরশাসকের দীর্ঘ কালো অধ্যায়ের সমসাময়িক অসঙ্গতিগুলো উঠে এসেছে কবি রাকিবুল এহছান মিনার-এর বর্তমান গ্রন্থে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে এই কবির কলম কখনো থেমে না থাকুক। ‘বোধের অভ্যুত্থান’ কাব্যগ্রন্থটি জুলাইয়ের স্মারক হয়ে পৌঁছে যাক প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে।

.

সাদিক কায়েম

জুলাই আন্দোলনের অন্যতম নীতিনির্ধারক এবং

তৎকালীন সভাপতি,

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, ঢাকা

Sorry, the comment form is closed at this time.