লেখক: পান্থজন জাহাঙ্গীর এই সময়ের শিল্পীরা যে সময়কে বুঝতে পেরেছে এবং তা ধারণ করতে পেরেছে তাতে আমরা গর্বিত হতে পারি। কিন্তু এটাই তো অনিবার্য যে, সত্য ও নৈতিকতা, ন্যায় ও সততা যখন ভুলুন্ঠিত তখনই জেগে উঠে প্রকৃত সাহসী মানুষ। ফলে এই ইতিহাস এখন শিল্পীদের নির্মাণ করা প্রধান দায় ও দায়িত্ব। এটাই কী আসল যুদ্ধ? হ্যাঁ। কারণ গণঅভ্যুত্থানের চরিত্র, ইতিহাস, সময়, কাহিনিকে লিটারালি প্রতিষ্ঠা করতে না পারলে এই রক্ত খুন জখম মানুষ ভুলে যাবে। যদিও ভুলে যাওয়া সুখী অথবা মূর্খ মানুষের প্রধান পরিচয়! হয়তো একদিন এই সময় মানুষ ভুলে যাবে। কিন্তু এই গল্পগুলো থেকে যাবে। ইতিহাস হয়ে রয়ে যাবে। রয়ে যাবে প্রকৃত দেশপ্রেমিকদের মনে ও মগজে। জুলাইয়ের রক্তমাখা, রাত জেগে থাকা তরুণ চোখের কাছে ঋণী। আশা করি, জুলাই বিপ্লবের অংশ হয়ে চিরকাল বেঁচে থাকবেন লেখক। পাঠককে তার গল্প পাঠের বিনীত অনুরোধ করব। বইটি ছড়িয়ে পড়ুক সকল সচেতন খাঁটি দেশপ্রেমিকের কাছে। স্মৃতির পাতায় লাল জুলাইয়ের এ ইতিহাস অহংকার হয়ে বাঁচুক।
Read More
লেখক: আহমদ মতিউর রহমান দেশ কাঁপানো ২৩ দিন [২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানের দিনগুলি] বাংলাদেশে ২০২৪ সালের জুলাই ও আগস্ট মাসে মাত্র ২৩ দিনের এক অভূতপূর্ব আন্দোলনে একটি ফ্যাসিবাদী শাসনকালের অবসান হয়েছে। এটা এক কথায় অবিশ্বাস্য এক আন্দোলন। দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে যে ফ্যাসিবাদকে অপসারণের জন্য হেন আন্দোলন ও কর্মসূচি পালিত হয়নি, কিন্তু সবই বিফলে গেছে। ছাত্রসমাজ কোটা সংস্কারের নামে আন্দোলনের সূচনা করে শেষ পর্যন্ত ভিত নড়িয়ে দিল শেখ হাসিনার শক্ত হাতে গড়ে তোলা শাসনব্যবস্থাকে। শেষে তা তাসের ঘরের মতো ভেসে গেল। এই সময়টাকে বলা যায় দেশ কাঁপানো তেইশ দিন। ৪০টিরও বেশি রাজনৈতিক দল ১২ বছর ধরে আন্দোলন করলেও জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসা আওয়ামী সরকারকে হটাতে পারেনি। আর ২০২৪ এ এসে জুলাই আগস্টের রক্ত¯পাত আন্দোলনের মধ্যদিয়ে মাত্র ২৩ দিনে তা সফলতার দ্বার প্রান্তে পৌঁছে যায়। এই ২৩টি দিন ছিলো দেশকে পরিবর্তনের পথে নিয়ে যাওয়ার এক যুগান্তকারী ঘটনা বহুল। ফলে এই ২৩ দিবসকে দেশ কাঁপানো তেইশ দিন বলাই যুক্তিযুক্ত। কি ছিলো এই দিনগুলোর বৈশিষ্ট্য? কি যাদু ছিলো কোমলমতি ছাত্রছাত্রীদের আন্দোলনের কর্মসূচিতে? এসবের বিশ্লেষণ ও চিত্র তুলে ধরা হয়েছে এই বইয়ে। ভবিষ্যতে ইতিহাসের স্বাক্ষী হয়ে থাকবে এই বই।
Read More
লেখক : রাশিক রাহবারপ্রকাশনী : নন্দন জুলাইয়ের সাক্ষী যোদ্ধা’- একটি আন্দোলনের দলিল, একটি সময়ের প্রতিচ্ছবি। ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়, যা গড়ে উঠেছিল সাধারণ মানুষের ক্ষোভ, প্রতিবাদ ও অধিকার আদায়ের অদম্য সংকল্প থেকে। এই বইয়ে দিন-প্রতিদিনের ঘটনাপ্রবাহ নিখুঁতভাবে তুলে ধরা হয়েছে-প্রতিবাদের আগুন কীভাবে জ্বলে উঠল, কোন মোড়ে বাঁক নিল আন্দোলন, কারা সামনে থেকে নেতৃত্ব দিল, আর কীভাবে দেশের মানুষ প্রত্যক্ষ করল এক পরিবর্তনের সংগ্রাম। প্রতিটি ঘটনার বিশ্লেষণ, প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিজ্ঞতা ও ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট মিলিয়ে বইটি হয়ে উঠেছে এক বাস্তবধর্মী এবং তথ্যসমৃদ্ধ নথি। তরুণ লেখক রাশিক রাহবারের প্রাঞ্জল ভাষায় লেখা এই গ্রন্থ শুধুমাত্র ইতিহাস নয়-এটি সাহস, প্রতিরোধ ও সংগ্রামের এক অনন্য দলিল, যা পাঠকের সামনে উন্মোচন করবে এক উত্তাল সময়ের সজীব চিত্র।
Read More
লেখক: আহমদ মতিউর রহমান ছাত্রসমাজ কোটা সংস্কারের নামে আন্দোলনের সূচনা করে শেষ পর্য়ন্ত ভিত নাড়িয়ে দিল শেখ হাসিনার শক্ত হাতে গড়ে তোলা ফ্যাসিবাদী শাসন ব্যবস্থার। শেষে তা তাসের ঘরের মতো ভেসে গেল। এই সময়টা খুব লম্বা নয়, সাকুল্যে দুই মাস। আর মূল সংগ্রাম মাত্র তেইশ দিনের। বলা যায় দেশ কাঁপানো তেইশ দিন। ৪০ টিরও বেশি রাজনৈতিক দল ১২ বছর ধরে আন্দোলন করলেও জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসা আওয়ামী সরকারকে হঠাতে পারেনি। আর ২০২৪-এ এসে জুলাই আগস্টের রক্ত¯œাত আন্দোলনের মধ্য দিয়ে মাত্র দুমাসে তা সফলতার দ্বারপান্তে পৌঁছে যায়। এই দুটি মাস ছিল দেশকে পরিবর্তনের পথে নিয়ে যাওয়ার এক যুগান্তকারী ঘটনা বহুল।শেষে ৫ আগস্ট এলো মহাবিজয়ের মহামিলনের এক ক্ষণ। আমি দেখেছি এ দিন ঢাকার রাস্তায় চাপ চাপ উত্তেজনা। মানুষের মনে মুক্তির এক আকাক্সক্ষা গুমড়ে মরছে। কিন্তু প্রকাশ পাচ্ছে না। শেষে দিনটি পরিণত হলো মহাবিজয়ের এক ক্ষণে। সেই বিজয়কে ছাত্ররা বলেছে দ্বিতীয় স্বাধীনতা তথা দ্বিতীয় বিজয়। জুলাই মাসের রক্তপ্লাবী দিনগুলোকে স্মরণে রাখতে তারা জুলাই গণহত্যা হিসেবে চিহ্নিত করে সময়টাকে। সেই সামটাকে তারা সম্প্রসারিত বা প্রলম্বিত করে ৩৬ জুলাই নামকরণ করে। তারা দেয়ালে গ্রাফিতির আকারে তার প্রকাশ ঘটায়। কি ছিল এই দিনগুলোর বৈশিষ্ট্য? কি যাদু ছিল কোমলমতি ছাত্রছাত্রীদের আন্দোলনের কর্মসূচীতে? শেষে বিজয়ের ক্ষণটি কেমন ছিল? তার বিশ্লেষণ ও চিত্র তুলে ধরতে এই বই।
Read More