লেখক : মোস্তাক আহ্মাদপ্রকাশনী : কিশোরবেলা প্রকাশন পৃষ্ঠা : 112, কভার : -, সংস্করণ : ১ম প্রকাশ, ২০২৪আইএসবিএন : 9789849838920, ভাষা : বাংলা এই আন্দোলন তারুণ্যের জয়ের প্রতীক। তারুণ্যের শক্তিকে কখনও দমিয়ে রাখা যায় না। সব গণঅভ্যুত্থানে রক্ত ঝরেছে। তবে মুক্তিযুদ্ধের আগে-পরে কোনো আন্দোলনে এত কম সময়ে এত বেশি রক্ত ঝরেনি। কোটা সংস্কারে গড়ে ওঠা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে বিশ্বজুড়ে আবু সাঈদ সাহসী প্রতিবাদী চরিত্র হয়ে থাকবে। এমন অসংখ্য ছাত্র-জনতার জীবনের ত্যাগে একক কর্তৃত্বের শাসনে শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশ ছাড়ার ঘটনা ঘটে। জুলাই থেকেই সরকার সম্পূর্ণভাবে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল। পশ্চিমাকে শত্রু বানিয়ে শেষ পর্যায়ে ভূরাজনীতিতেও প্রায় একা হয়ে পড়েছিলেন। অবশেষে গণ-আন্দোলনের মুখে তার নির্মম পরিণতি দেখে বিশ্ব। টি এস এলিয়ট কবিতায় বলেছেন এপ্রিল নিষ্ঠুরতম মাস। কারণ এ মাসে লাইলাক ফুল ফোটে। বিরানভূমিতে ফুলও নিষ্ঠুরতার কথা মনে করিয়ে দিতে পারে কবিকে, কিন্তু আমাদের আছে ভয়াবহ বাস্তব কারণ। দেশ স্বাধীনের আগে ছিল নভেম্বর। সে মাসে সত্তরের জলোচ্ছ্বাস ঘটেছিল। স্বাধীনতার বছর নিষ্ঠুরতম মাস ছিল কালরাত্রির মার্চ। বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুতে প্রতিবছর ১৫ অগাস্ট দিবসটি শোকের সঙ্গে পালন করলেও এই বছর শিক্ষার্থীরা অগাস্ট মাসেও জুলাইকে টেনে হিসেবে করেছেন। পরিণত করেছেন শোককে শক্তিতে। নানান সংকটে দেশ ঢিমেতালে চললেও গত এক দশকে বড়ধরনের ঘটনা ঘটেনি। কিন্তু এর মাঝে দেশের ইতিহাসের নিষ্ঠুরতম সময় পার করছে। চোখের সামনে তরুণদের ক্রমবিস্তৃত একটা […]
Read More
লেখক : রওশন হকপ্রকাশনী : গল্পকার পৃষ্ঠা : 200, কভার : -, সংস্করণ : ১ম প্রকাশ, ২০২৫আইএসবিএন : 9789849978664, ভাষা : বাংলা বাংলাদেশে চাকরিতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন সর্বক্ষেত্রে সরকারেরঅন্যায় আর নিপীড়নের বিরুদ্ধে গণআন্দোলনে রূপ নেয়। গণতান্ত্রিকরাষ্ট্রে কোথাও কোথাও বৈষম্য থাকে না তা নয়, কিন্তু তা করা হয় সূক্ষ্মভাবে।ধরা যাক, মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে এমন কোনোশর্ত জুড়ে দেওয়া হলো, যা বিশেষ কোনো বর্ণের বা এলাকার শিক্ষার্থীদেরবিশেষ সুবিধা দেবে বা কোনো বিশেষ গোষ্ঠীকে অসুবিধায় ফেলবে। কিন্তুবাংলাদেশে সরকার যখন একটা বিশেষ এলাকার এবং বিশেষ রাজনৈতিকঘরানার মানুষদের নগড়বভাবে অর্থনৈতিক সুবিধা দেয়, তাদের হাতে তুলে দেয়চাকরি ও ব্যবসা, তখন আর তা বৈষম্য থাকে না, হয়ে যায় স্পষ্ট দুঃশাসন।ভিনড়বমতকে দমন করার দানবীয় কৌশলগুলো মানুষকে আতঙ্কতি ও অসহায়করে তোলে। এটা চলতে থাকে দিনের পর দিন।দেশের রাজনৈতিক সরকারগুলো গণতন্ত্রের কথা, মানুষের ভোটের অধিকারেরকথা বলে রাস্তা আর মঞ্চ গরম করে, কিন্তু ক্ষমতায় গিয়েই তৈরি করতেথাকে একতরফা নির্বাচনের পথ। ভোট ছাড়া ভোট হয়। ভয় হয়। মানুষযেন নিঃশ্বাস নিতে পারছিল না। দল, সরকার, পুলিশ, প্রশাসনÑ সবাইএকযোগে মানুষকে নিপীড়ন করেছে, জেলে ঢুকিয়েছে, লুটপাট করেছে আরকোটি কোটি ডলার পাচার করেছে।এ অবস্থায় ছাত্রছাত্রীদের এই আন্দোলনের গুরুত্ব বা এর অভিমুখ সরকারবুঝতে পারেনি। বুঝতে পারেনি বললে ভুল হবে, বুঝতে চায়নি। কারণদেশের মানুষকে বুঝতে না চাওয়াটাই সরকারের নীতি হয়ে উঠেছিল।তাদের অনমনীয়তা আর মিথ্যাচার শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অভিভাবক […]
Read More
লেখক : মোঃ নাছিম প্রাং (সম্পাদক)প্রকাশনী : ইচ্ছাশক্তি প্রকাশনী পৃষ্ঠা : 256, কভার : হার্ড কভার, সংস্করণ : প্রথম প্রকাশ, 2024আইএসবিএন : 9789843601865, ভাষা : বাংলা আসসালামু আলাইকুম। কবি সাহিত্যিক শিল্পী তথা বাঙালী সংস্কৃতির বিকাশ ও সাহিত্য- চর্চার এক অনন্য মেল বন্ধন ‘ইচ্ছাশক্তি সাহিত্য পরিবার” প্লাটফর্মটি। কতিপয় মহৎ প্রাণ ব্যক্তির ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও প্রেমময় সন্দীপনায় এই প্লাটফর্মটি হাটি হাটি পা পা করে আজ তিন বছরে পদার্পণ করলো। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে যারা মেধা মনন বিকশিত করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সৃজনশীল অবদান রেখে আসছেন, প্লাটফর্মটির প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে এবং পরিচালনা পরিষদের পক্ষ থেকে আমি তাঁদের-কে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। উল্লেখ্য, ‘চব্বিশের গণবিস্ফোরণ আমাদের পঞ্চম যৌথ কাব্য সংকলন। আমাদের প্রকাশিত এই সংকলনটিও সকল কবি এবং লেখকদের সমুদ্দীপ্ত করবে এ আমার দৃঢ় বিশ্বাস। প্লাটফর্মটি দীর্ঘপরিক্রমায় অনেক চড়াই-উৎরাই অতিক্রম করে আজ স্বপ্নময় সুন্দরের স্পর্শ পেয়েছে। সকলের সার্বিক সহযোগিতায় ‘ইচ্ছাশক্তি সাহিত্য পরিবার প্লাটফর্মটির মান ব্যাপকভাবে প্রসারিত হয়েছে, আগামীতেও হবে ইনশাল্লাহ। ইতোমধ্যে আমাদের কিছু প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে এবং অল্প সময়ের মধ্যে আরো অনেক আশা আমাদের পূরণ হবে বলে আমি আশাবাদী। এই প্লাটফর্মটি একটি সর্বোচ্চ অনলাইন প্লাটফর্ম হিসাবে গড়ে তোলার স্বপ্ন লালন-পালন করি আমরা। সবার প্রতি কৃতজ্ঞ, যারা কার্যকরী পরিষদে আমাদের সহযোদ্ধা হিসাবে আলোকিত। যারা সাহিত্য প্রেমী, তারা প্লাটফর্মটিকে ভালোবেসে অগ্রণী করে তুলেছেন। আপনাদের প্রতিদিনের সুন্দর ও গঠনমূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে আমি […]
Read More
লেখক: রিদওয়ান নোমানী ঘুমের মধ্যেও গুলিবিদ্ধ হওয়ার দিনে-কবিতার মুখোমুখি হতে গিয়ে দেখেছি কবিতা আর ভীত-সন্ত্রস্ত নেই, কবিতারা আমার মতোই সাহসী। এক একটি শব্দ বিজয় ছিনিয়ে আনতে তৎপর। কবিতা মনের খোরাক, তাই মনের আঙিনায় তারাও করেছে অভ্যুত্থান। সংগ্রাম থেকে ফেরা রাতগুলোতে কবিতারা দখলের আকাক্সক্ষায় ঝাপিয়ে পড়ত। যেন এখনই সময় সুতীব্র উচ্চারণের। আমি সংগ্রামের সাহসী যোদ্ধা, আমার সাহস আর ক্রোধকে ধারণ করতে চাইত কবিতা। চার শতাধিক পুলিশের তাক করা বন্দুকের সামনে হাঁটু গেড়ে বসতে গিয়ে একজন কবিকে দেখি। কবির চোখের সন্ত্রাসে ভীত-সন্ত্রস্ত বন্দুক কীভাবে থতমত খায়!সংগ্রামের কবিতা দেখতে কেমন, এসব আমি কিছুই বলব না। আমি বলব যোদ্ধাদের সাহসী উচ্চারণই কবিতা। ‘পিছনে পুলিশ, সামনে স্বাধীনতা!’ মাঠের সেøাগানগুলোই এক একটি কবিতা। তারপরও কবিতার যেহেতু একটি গোত্র, বর্ণ আছে। তাকে শাসন করার জন্য একজন কবি আছে। তাই দেখতে চেয়েছি বা দেখাতে চাচ্ছি এ সময়ের কবিতারা কীভাবে সংগ্রামের সামনে দাঁড়িয়েছে? ‘হারগুঁজি’ দক্ষিণাঞ্চলের একটি কাঁটাযুক্ত পাতার নাম। এর আক্ষরিক অর্থ গলার কাঁটা, যা আমার বৈশিষ্টকেই ধারণ করে। দুই বছর আগে ‘হারগুঁজি’ কবিতার ছোটকাগজ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। যদিও গত দুই বছরে আর কোনো সংখ্যা বের হয়নি। এবার হারগুঁজি তার স্ব কাজে ফিরে এসেছে। সংগ্রামের সময় লেখা কবিতা অর্থাৎ ‘৩৬জুলাই গণঅভ্যুত্থান সংখ্যা’টি তারই নমুনা।
Read More