লেখক : অনামিকা চৌধুরীপ্রকাশনী : উচ্ছ্বাস প্রকাশনীপৃষ্ঠা : ৪৮সংস্করণ : ১ম প্রকাশ, ২০২৫ভাষা : বাংলা বইটি ২৪ মার্চের গণঅভ্যুত্থান থেকে শুরু করে বাংলাদেশের রাজনৈতিক, সামাজিক ও মানবাধিকার পরিস্থিতিকে একটি ধারাবাহিক বর্ণনায় তুলে ধরেছে। শুরুর অধ্যায়গুলোতে (যেমন ‘২৪’এর গণঅভ্যুত্থান’, ‘দীর্ঘদিনের জমে থাকা ক্ষোভ’) জাতির মধ্যে গুঞ্জরিত ক্ষোভ, শাসনব্যবস্থা নিয়ে অসন্তোষ এবং জনগণের সংগ্রামের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরা হয়েছে। এরপর ‘মানবাধিকারের হরণ’, ‘পুলিশ ও প্রশাসন নির্ভর একটি দল’ ইত্যাদি অধ্যায়ের মাধ্যমে রাষ্ট্রযন্ত্রের দমন-পীড়ন এবং জনগণের অধিকারের সংকোচন বিষয়টি আলোচনা করা হয়েছে। ‘অর্থনীতির দৈন্যদশা’র মতো অধ্যায়গুলোতে দেশের আর্থিক চিত্র এবং ‘বাকস্বাধীনতা রুখতে পারেননি হাসিনা’ ও ‘জুলাই গণহত্যার আদ্যোপান্ত’ অধ্যায়গুলোতে রাজনৈতিক শাসনের সীমাবদ্ধতা ও নিষ্ঠুরতাগুলো বিশ্লেষণ করা হয়েছে। ‘গণহত্যা’, ‘শহীদদের নতুন শব্দে নতুন ধারা’ ও ‘৩৬ জুলাইয়ের প্রেক্ষাপট’ অংশগুলোতে পাঠক পাবেন একটি গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক সময়ের বাস্তবতা, যেটি ভবিষ্যতের জনমত ও গণতান্ত্রিক চেতনার রূপরেখা আঁকে। বইয়ের শেষদিকে ‘শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে যত অভিযোগ’ ও ‘জালের করুণ পরিণতি’ অধ্যায়গুলো বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থা এবং নেতৃত্ত্বের জবাবদিহিতার প্রসঙ্গকে কেন্দ্র করে গঠিত। উপসংহার: এই বইটি কেবল একটি ঘটনাবহুল দিনের রেকর্ড নয়, বরং একটি শাসনব্যবস্থার মূল্যায়ন, একটি জাতির আশা-নিরাশার বিবরণ এবং ভবিষ্যতের জন্য একটী রাজনৈতিক চেতনার দলিল। সাংবাদিকতা ও গবেষণার পাঠকদের জন্য এটি একটি সময়োপযোগী এবং গুরুত্বপূর্ণ বই।
Read More
লেখক: নাঈমুল ইসলাম গুলজার ঝলসে ওঠা বিপ্লবের দীপ্তি, গণবিস্ফোরণ, নতুন সূর্যের উদয় কিংবা নবজাগরণ—কীভাবে বিশ্লেষণ করা যায় জুলাই চব্বিশের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে? জানি না। আমার কাছে এই গণঅভ্যুত্থানকে বিশ্লেষণের কোনো শব্দ নেই। শুধু জানি, জুলাইয়ে বাংলার মানুষ নেমেছিলো অদম্য এক আগুন হয়ে, যার অঙ্গুলি ছিলো ঘৃণার দিকে আর বুক ভরা সাহসের ফুল। এটি শুধুমাত্র এক অভ্যুত্থান নয়, ছিলো ফ্যাসিবাদের বিপক্ষে আমাদের স্বপ্নের অগ্নিপরীক্ষা—যেখানে গণমানুষের চিৎকার, এক অনবদ্য উচ্চারণ হয়ে প্রতিধ্বনিত হয়েছিল আকাশে বাতাসে। চৌহাট্টার লাল বৃষ্টি এমন আগুন সময়ে সিলেটে এক তরুণের বিপ্লবে ঝাঁপিয়ে পড়ার গল্প। চব্বিশের জুলাই যাকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে নিজের ভেতরের আরেকটি সত্তার সাথে। বানিয়েছে শান্ত জল থেকে আগুনের স্ফুলিঙ্গ।
Read More
লেখক : বাকী বিল্লাহপ্রকাশনী : জাগতিক প্রকাশনপৃষ্ঠা : ২৪৮সংস্করণ : ১ম প্রকাশ, ২০২৫আইএসবিএন : ৯৭৮৯৮৪৯৯৭২৭০৯ভাষা : বাংলা ‘তোমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে’-এমন একটি সংস্কৃতি বহন করে চলেছে বাংলাদেশের মানুষ। নিরাপদ নিশ্চিন্ত ঘুম, অবাধ কর্মসংস্থানের সুযোগ, জ্ঞানগর্ভ শিক্ষার সম্প্রসারণ, আধুনিক কৃষি উৎপাদন ব্যবস্থা এবং দায়িত্বশীল প্রশাসনিক কাঠামো দেশের মানুষকে স্বস্তির নিঃশ্বাস এনে দিতে পারে। যা কেবলমাত্র সঠিক নেতৃত্বের মাধ্যমেই সম্ভব। স্বাধীন বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় হলফ করে বলা যায় না যে, এখানে একটি সঠিক নেতৃত্ব গড়ে উঠেছে। যদিও কোনো কোনো ক্ষণজন্মার আবির্ভাব আমাদের আশান্বিত করেছিল, তবে টেকসই হতে পারে নি। অনুভূতির খুব ধারালো ক্ষুর প্রয়োগ করলে দেখা যাবে যে গত তেপ্পান্ন বছরে এমন কোনো রাজনৈতিক নেতার জন্ম হয়নিÑ যিনি পাঠ্যপুস্তকের অন্তর্ভুক্ত হয়ে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের আদর্শের উৎস হতে পারে।
Read More
লেখক: কবীর আলমগীর ছাত্র-জনতার অত্যুত্থান ও আওয়ামী লীগের পতন গ্রন্থটি সমকালের একটি প্রামাণ্য দলিল ও পর্যালোচনা। বাংলাদেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগের একক আধিপত্ত, দুর্নীতি ও দলটির সর্বশেষ করুণ পরিণতির কথা উঠে এসেছে এ গ্রন্থটিতে। ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দে এদেশের ছাত্র-জনতা কীভাবে দুর্নিবার সাহসে ঐ ‘গণহত্যাকারী’ ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থার মূল উচ্ছেদ করেছে তার বিবরণ ও কার্য-কারণের সন্ধানই লেখকের মূল উদেশ্য। দেশের মানুষ রাজনৈতিক পালাবদলের সঙ্গে সঙ্গে আশায় বুক বেঁধেছে একটি আদর্শ রাষ্ট্রগঠনের অভিপ্রায়ে। কিন্তু বারবার জনগণের স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে, জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা হোঁচট খেয়েছে। এবারের বিপ্লব বা গণঅভ্যুত্থানও কি হাতছাড়া বা বেহাত হচ্ছে, এই প্রশ্নও আছে এ গবেষণায়। আওয়ামী লীগের অনিবার্য পতনে অন্য রাজনৈতিক দলগুলো কী শিক্ষা নিতে পারে সেই অলোচনাও মিলবে এখানে। সব মিলিয়ে আলোচ্য গ্রন্থটি এই সময়কার রাজনীতি ও রাষ্ট্রকাঠামের ব্যবচ্ছেদ বলা যায়।
Read More