লেখক :
প্রকাশনী : পাতা প্রকাশনী
পৃষ্ঠা : ৮৮
সংস্করণ : ১ম প্রকাশ, ২০২৫
আইএসবিএন : ৯৭৮৯৮৪৯৯৮০৫৮২
ভাষা : বাংলা
২০২৪ সালের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেয় দেশের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ১৬ জুলাই যখন রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যায়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ শহীদ হন,
তখন সেই ভিডিও সারাদেশের মানুষকে উত্তেজিত করে তোলে। তারপর প্রায় পুরো দেশ ক্রোধে ফুঁসে উঠে।
নতুন করে আন্দোলনে যোগ দেয় দেশের সকল শ্রেণি পেশার মানুষ। ১৮ জুলাই এর পর থেকে আমি নিজেও যোগ দেই এই আন্দোলনে।
বিগত সরকার নির্মমভাবে গুলি করে দেশের সাধারণ ছাত্র-জনতার উপর। সেই আন্দোলনে
অনেক ছাত্র-ছাত্রীসহ নানান শ্রেণি পেশার প্রায় ২ হাজার
মানুষ শহীদ হয়। বাসার ভেতরে থাকা ছয় বছরের শিশুর গায়েও গুলি এসে লাগে, নিহত হয় অসংখ্য শিশু-কিশোর।
কয়েক হাজার মানুষ আহত হয়।
আন্দোলন শেষ হওয়ার পর হাসপাতালে আহতদের দেখতে গিয়েছিলাম আমি এবং শহীদদের বাসায় যাওয়া শুরু করি তাদের সাথে সমব্যথী হওয়ার জন্য। তাদের সাথে তাদের পরিবারের সাথে কথা বলেছি। তাদের দুঃখ কষ্টের কথা শুনে নিজেকে ধরে রাখা খুব কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তাদের কথাগুলো মলাটবদ্ধ করা গুরুদায়িত্ব মনে হয়েছে। বিপ্লবানামা বইটিতে তাদের তথ্য ও ছবি প্রকাশিত হয়েছে। যার যতটুকু ছবি ও তথ্য পেয়েছি তার সবটা দেয়ার চেষ্টা করেছি।
দিন-রাত এক করে এই বই প্রকাশের কাজ করতে গিয়ে আমি নিজেই কান্নায় জর্জরিত হয়েছি বহুবার। পেশাগত দায়িত্বের বাইরে আমিও একজন মা। সন্তান হারানোর ব্যাথা যে কি সেটা শুধু মায়েরাই বোঝে বেশি।
শহীদ আনাসের মা-বাবা, শহীদ জুনায়েদের মা-বাবা, শহীদ সৈকতের মা-বাবার ছেলে হারানোর যন্ত্রণার কথাগুলো ওনাদের সাথে দেখা করে ওনাদের মুখ থেকে শুনেছি। ওনাদের সান্ত্বনা দেয়ার ভাষা আমার কাছে নেই।
এই বইটির প্রচ্ছদ তৈরি করার সময় অনেক কিছু ভাবতে হয়েছে আমাকে। এই বইটি যাদের আত্মত্যাগের রচিত হয়েছে, তাঁদের সবার ছবি প্রচ্ছদে যুক্ত করার ইচ্ছা ছিল আমার শুরু থেকেই। কিন্তু একটি প্রচ্ছদে সবার ছবি যোগ করাটা দৃষ্টিকটু দেখাচ্ছিল এবং ঠিক গোছানো দেখাচ্ছিলো না প্রচ্ছদটা। কিছুটা সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগার পর মনে হলো, নাহ! ছবি যুক্ত করে সম্মানিত করাটাই উপযুক্ত হবে।
Sorry, the comment form is closed at this time.