লেখক :মুহম্মদ নিজাম আমরা একটা বন্ধ গেটের কাছে স্টাক হয়ে আছি। কয়েকটা পুলিশ বারুদভরা শটগান উঁচিয়ে শিকারি ভঙ্গিতে শরীরটা বাঁকিয়ে মাথা নিচু করে হেঁটে হেঁটে আমাদের দিকে আসছে। ট্রিগারে আঙুল। সাবধানী পা। মূল দল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে আমরা গোটা কয়েক মানুষ একটা গলির ভেতর আটকে গেছি। পেছনে আর পথ নেই। সবগুলো বাড়ির কেচিগেট লাগানো। আমাদের মধ্য থেকেই একটা অল্পবয়সী ছেলে বন্ধ গেটের রডগুলি ধরে ঝাঁকাচ্ছে আর আকুল স্বরে মিনতি জানাচ্ছে, “গেট খুলে দিন, আল্লাহর ওয়াস্তে গেইটটা খুলে দিন! মেরে ফেলবে ওরা আমাদের! হ্যালো, কেউ আছেন?” পুলিশের দলটা একেবারে দশ গজের মধ্যে চলে এসেছে, ফায়ার করতে যাবে ঠিক তখনই, একদম সামনের পুলিশটা অস্ত্র নামিয়ে মুখের হেলমেট চোখের উপরে তুলে কড়া গলায় শাসনের সুরে ডাক দিলো, “তিতাস! তুই এখানে কেন?” যেন একটা দম-বন্ধ-করা ঘোলাজলের স্রোতের ভেতরে ডুবে যেতে যেতে আচমকা ডাঙায় উঠে এলাম, “ভাই তুই!” ভাই এগিয়ে এসে আমার কানের উপর কষে একটা থাপ্পড় দিয়ে বলল, “যা ভাগ!” আমার পাশে আটকে থাকা অন্য মানুষগুলির দিকে তাকিয়েও ভাই একই কথা বলল, “যান যান, বাড়ি যান সবাই।” হাফ ছেড়ে বাঁচলাম। অমোঘ মৃত্যুর মুখ থেকে বেঁচে ফেরার পথ পেলাম। ভাই নিজেও তার দলবল নিয়ে গাড়ির দিকে চলে গেলো। তীব্র সাইরেন বাজাতে বাজাতে ওদের আর্মড কারটা রণক্ষেত্র ছেড়ে দূরের পথে মিলিয়ে গেলো। কিন্তু না, এই গল্প […]
Read More
লেখক : আলফাজ আনামপ্রকাশনী : প্রচ্ছদ প্রকাশন শেখ হাসিনার দেড় দশকের স্বৈরাচারী শাসনের অবসান ঘটেছে একটি সফল গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে সবচেয়ে রক্তাক্ত এই অভ্যুত্থানে মারা গেছে দেড় হাজারের বেশি নাগরিক। আহতের সংখ্যা বিশ হাজার ছাড়িয়েছে। হাসিনা সরকারের ব্যাপক গণবিরোধী কর্মকাণ্ড জনমনে যে বিক্ষোভের আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছিল, তার প্রতিফলন ঘটেছে জুলাইয়ের ছাত্র-জনতার আন্দোলনে। ছাত্র-জনতার বাঁধভাঙা জোয়ারে ভেসে যায় শেখ হাসিনার সরকার। দ্রুত ক্ষমতা ছেড়ে তিনি ভারতে পালিয়ে যান। শেষ পর্যন্ত অবসান ঘটে শেখ হাসিনার দীর্ঘদিনের স্বৈরশাসনের। সরকারি চাকরির কোটাবিরোধী আন্দোলন যখন শেখ হাসিনা সরকার নির্মমভাবে দমনের চেষ্টা করেন, তখন থেকে এই আন্দোলন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের নজরে আসে। নিউইয়র্ক টাইমস, আল জাজিরা, বিবিসি ও সিএনএন নিয়মিত এই আন্দোলনের খবর প্রচার শুরু করে। তবে ছত্রিশ দিনের আন্দোলনে দেড় দশকের নিষ্ঠুর একটি সরকারের পতনে ঘটবে, তা ছিল অবিশ্বাস্য। ফলে শেখ হাসিনার পতনের দিন থেকে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে নানা ধরনের বিশ্লেষণ প্রকাশ হতে থাকে। বিদেশি গণমাধ্যমে প্রকাশ হওয়া এসব প্রতিবেদনে শেখ হাসিনার পতন ও পলায়নের আগের ও পরের নানা ঘটনা উঠে আসে। সেখানে শেখ হাসিনার দেড় দশকের শাসনের একটি চিত্রও অঙ্কিত হয়, যার ঐতিহাসিক গুরুত্ব অপরিসীম।
Read More
লেখক: রাকিবুল এহছান মিনার আঁধারকে ছিন্ন করে আলোর উদ্ভাসন চিরন্তন। কখনো আঁধারের ব্যাপ্তি দীর্ঘ হয়, আবার কখনো-বা স্বল্প সময়ের ঘূর্ণিতেই ভোরের আলো ছিন্ন করে সোনালি প্রভাত আসে। এটাই সত্য যে, আলোর আগমনকে কেউ বেঁধে রাখতে পারে না কোনো বন্ধনীতে। প্রতিপক্ষ হিসেবে থাক না কোনো মিশরের ফেরাউন কিংবা বাংলাদেশের কোনো বাকশালী-স্বৈরাচারী! . জাতি হিসেবে আমাদেরকে বারবার জীবন ও রক্ত দিতে হয়েছে ঐতিহাসিকভাবেই। অধিকার আদায়ের প্রশ্নে এই ভূখণ্ডের জনগোষ্ঠী বরাবরই আপোষহীন। যখনই কোনো অপশক্তি আমাদেরকে থাবা দিতে এসেছে, আমরা রুখে দাঁড়িয়েছি নিজেদের সর্বোচ্চ শক্তিটুকু দিয়ে; যার সর্বশেষ নজির আমাদের ‘জুলাই বিপ্লব’। . আমাদের ছাত্রজনতার দ্বিধাহীন আত্মত্যাগ বৃথা যেতে পারে না। আবু সাঈদ, মুগ্ধ, ওয়াসিম, শান্ত ও আলী রায়হানদের স্বপ্ন এবং প্রত্যাশাগুলো খণ্ডিত হতে পারে না। আমাদের চেতনায় জুলাইকে ভাস্বর রাখা অনিবার্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফ্যাসিস্টের কালো ছায়া যেন ইতিহাস-ঐতিহ্যে মহীয়ান আমাদের এই বাংলাদেশে আর না পড়ে। . সেই যুগচাহিদা ও ঐতিহাসিক প্রয়োজনকে সামনে রেখে সাহিত্য রচনাও আমাদের দায়িত্বের পর্যায়ভুক্ত বলে মনে করি। সাহিত্যের মধ্য দিয়েই বস্তুত বেঁচে থাকে ইতিহাস, স্পিরিট, শহীদের আকাঙ্ক্ষা, ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয় আর এগিয়ে যাওয়ার দুর্বার স্পৃহা। সেই দায়িত্বই পালন করে চলেছেন বর্তমান সময়ের তুমুল জনপ্রিয় তরুণ কবি ও গীতিকার রাকিবুল এহছান মিনার। তার কবিতা এবং গানের মাধ্যমে জুলাই বিপ্লবেও ছাত্রজনতা উজ্জীবিত হয়েছে। . স্বৈরশাসকের দীর্ঘ কালো অধ্যায়ের সমসাময়িক অসঙ্গতিগুলো […]
Read More
লেখক: পান্থজন জাহাঙ্গীর এই সময়ের শিল্পীরা যে সময়কে বুঝতে পেরেছে এবং তা ধারণ করতে পেরেছে তাতে আমরা গর্বিত হতে পারি। কিন্তু এটাই তো অনিবার্য যে, সত্য ও নৈতিকতা, ন্যায় ও সততা যখন ভুলুন্ঠিত তখনই জেগে উঠে প্রকৃত সাহসী মানুষ। ফলে এই ইতিহাস এখন শিল্পীদের নির্মাণ করা প্রধান দায় ও দায়িত্ব। এটাই কী আসল যুদ্ধ? হ্যাঁ। কারণ গণঅভ্যুত্থানের চরিত্র, ইতিহাস, সময়, কাহিনিকে লিটারালি প্রতিষ্ঠা করতে না পারলে এই রক্ত খুন জখম মানুষ ভুলে যাবে। যদিও ভুলে যাওয়া সুখী অথবা মূর্খ মানুষের প্রধান পরিচয়! হয়তো একদিন এই সময় মানুষ ভুলে যাবে। কিন্তু এই গল্পগুলো থেকে যাবে। ইতিহাস হয়ে রয়ে যাবে। রয়ে যাবে প্রকৃত দেশপ্রেমিকদের মনে ও মগজে। জুলাইয়ের রক্তমাখা, রাত জেগে থাকা তরুণ চোখের কাছে ঋণী। আশা করি, জুলাই বিপ্লবের অংশ হয়ে চিরকাল বেঁচে থাকবেন লেখক। পাঠককে তার গল্প পাঠের বিনীত অনুরোধ করব। বইটি ছড়িয়ে পড়ুক সকল সচেতন খাঁটি দেশপ্রেমিকের কাছে। স্মৃতির পাতায় লাল জুলাইয়ের এ ইতিহাস অহংকার হয়ে বাঁচুক।
Read More
লেখক: আহমদ মতিউর রহমান দেশ কাঁপানো ২৩ দিন [২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানের দিনগুলি] বাংলাদেশে ২০২৪ সালের জুলাই ও আগস্ট মাসে মাত্র ২৩ দিনের এক অভূতপূর্ব আন্দোলনে একটি ফ্যাসিবাদী শাসনকালের অবসান হয়েছে। এটা এক কথায় অবিশ্বাস্য এক আন্দোলন। দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে যে ফ্যাসিবাদকে অপসারণের জন্য হেন আন্দোলন ও কর্মসূচি পালিত হয়নি, কিন্তু সবই বিফলে গেছে। ছাত্রসমাজ কোটা সংস্কারের নামে আন্দোলনের সূচনা করে শেষ পর্যন্ত ভিত নড়িয়ে দিল শেখ হাসিনার শক্ত হাতে গড়ে তোলা শাসনব্যবস্থাকে। শেষে তা তাসের ঘরের মতো ভেসে গেল। এই সময়টাকে বলা যায় দেশ কাঁপানো তেইশ দিন। ৪০টিরও বেশি রাজনৈতিক দল ১২ বছর ধরে আন্দোলন করলেও জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসা আওয়ামী সরকারকে হটাতে পারেনি। আর ২০২৪ এ এসে জুলাই আগস্টের রক্ত¯পাত আন্দোলনের মধ্যদিয়ে মাত্র ২৩ দিনে তা সফলতার দ্বার প্রান্তে পৌঁছে যায়। এই ২৩টি দিন ছিলো দেশকে পরিবর্তনের পথে নিয়ে যাওয়ার এক যুগান্তকারী ঘটনা বহুল। ফলে এই ২৩ দিবসকে দেশ কাঁপানো তেইশ দিন বলাই যুক্তিযুক্ত। কি ছিলো এই দিনগুলোর বৈশিষ্ট্য? কি যাদু ছিলো কোমলমতি ছাত্রছাত্রীদের আন্দোলনের কর্মসূচিতে? এসবের বিশ্লেষণ ও চিত্র তুলে ধরা হয়েছে এই বইয়ে। ভবিষ্যতে ইতিহাসের স্বাক্ষী হয়ে থাকবে এই বই।
Read More
লেখক : রাশিক রাহবারপ্রকাশনী : নন্দন জুলাইয়ের সাক্ষী যোদ্ধা’- একটি আন্দোলনের দলিল, একটি সময়ের প্রতিচ্ছবি। ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়, যা গড়ে উঠেছিল সাধারণ মানুষের ক্ষোভ, প্রতিবাদ ও অধিকার আদায়ের অদম্য সংকল্প থেকে। এই বইয়ে দিন-প্রতিদিনের ঘটনাপ্রবাহ নিখুঁতভাবে তুলে ধরা হয়েছে-প্রতিবাদের আগুন কীভাবে জ্বলে উঠল, কোন মোড়ে বাঁক নিল আন্দোলন, কারা সামনে থেকে নেতৃত্ব দিল, আর কীভাবে দেশের মানুষ প্রত্যক্ষ করল এক পরিবর্তনের সংগ্রাম। প্রতিটি ঘটনার বিশ্লেষণ, প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিজ্ঞতা ও ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট মিলিয়ে বইটি হয়ে উঠেছে এক বাস্তবধর্মী এবং তথ্যসমৃদ্ধ নথি। তরুণ লেখক রাশিক রাহবারের প্রাঞ্জল ভাষায় লেখা এই গ্রন্থ শুধুমাত্র ইতিহাস নয়-এটি সাহস, প্রতিরোধ ও সংগ্রামের এক অনন্য দলিল, যা পাঠকের সামনে উন্মোচন করবে এক উত্তাল সময়ের সজীব চিত্র।
Read More
লেখক: আহমদ মতিউর রহমান ছাত্রসমাজ কোটা সংস্কারের নামে আন্দোলনের সূচনা করে শেষ পর্য়ন্ত ভিত নাড়িয়ে দিল শেখ হাসিনার শক্ত হাতে গড়ে তোলা ফ্যাসিবাদী শাসন ব্যবস্থার। শেষে তা তাসের ঘরের মতো ভেসে গেল। এই সময়টা খুব লম্বা নয়, সাকুল্যে দুই মাস। আর মূল সংগ্রাম মাত্র তেইশ দিনের। বলা যায় দেশ কাঁপানো তেইশ দিন। ৪০ টিরও বেশি রাজনৈতিক দল ১২ বছর ধরে আন্দোলন করলেও জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসা আওয়ামী সরকারকে হঠাতে পারেনি। আর ২০২৪-এ এসে জুলাই আগস্টের রক্ত¯œাত আন্দোলনের মধ্য দিয়ে মাত্র দুমাসে তা সফলতার দ্বারপান্তে পৌঁছে যায়। এই দুটি মাস ছিল দেশকে পরিবর্তনের পথে নিয়ে যাওয়ার এক যুগান্তকারী ঘটনা বহুল।শেষে ৫ আগস্ট এলো মহাবিজয়ের মহামিলনের এক ক্ষণ। আমি দেখেছি এ দিন ঢাকার রাস্তায় চাপ চাপ উত্তেজনা। মানুষের মনে মুক্তির এক আকাক্সক্ষা গুমড়ে মরছে। কিন্তু প্রকাশ পাচ্ছে না। শেষে দিনটি পরিণত হলো মহাবিজয়ের এক ক্ষণে। সেই বিজয়কে ছাত্ররা বলেছে দ্বিতীয় স্বাধীনতা তথা দ্বিতীয় বিজয়। জুলাই মাসের রক্তপ্লাবী দিনগুলোকে স্মরণে রাখতে তারা জুলাই গণহত্যা হিসেবে চিহ্নিত করে সময়টাকে। সেই সামটাকে তারা সম্প্রসারিত বা প্রলম্বিত করে ৩৬ জুলাই নামকরণ করে। তারা দেয়ালে গ্রাফিতির আকারে তার প্রকাশ ঘটায়। কি ছিল এই দিনগুলোর বৈশিষ্ট্য? কি যাদু ছিল কোমলমতি ছাত্রছাত্রীদের আন্দোলনের কর্মসূচীতে? শেষে বিজয়ের ক্ষণটি কেমন ছিল? তার বিশ্লেষণ ও চিত্র তুলে ধরতে এই বই।
Read More
লেখক : ফরিদ উদ্দিন রনিপ্রকাশনী : ঐতিহ্য চব্বিশে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সরকারের অঙ্গসংগঠন ছাত্রলীগ-যুবলীগ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বন্দুকের নলের সামনে বুক পেতে দিয়ে নিজেকে আত্মোৎসর্গ করে দিয়েছেন অসংখ্য দিনমজুর বাবার ছেলে, কৃষকের ছেলে, শ্রমিকের ছেলে। শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়ে হাসিমুখে জীবন বিলিয়ে দিয়েছেন অসংখ্য চাকরিজীবী, রিকশাচালক, গার্মেন্টস শ্রমিক ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মীরা। বাসাবাড়ির ছাদে কিংবা বারান্দায়ও ঝরেছে শিশু-কিশোরের জীবন। বাবা-মায়ের বাধা উপেক্ষা করে আন্দোলনে এসে প্রাণ দিতে হলো কয়েকজন নারীকেও। যাদের পরিবারের সদস্যরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সক্রিয় তাদের নাম ব্যতীত মানুষের অজানা রয়ে গেছে শত শত তরুণের আত্মত্যাগের গল্প। বিভিন্ন অংশীজন সমাজের ২৪ জনের গল্প তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে এই বইতে। ভবিষ্যতে তা সিরিজ হতে পারে। কীসের তাগিদে তারা রাস্তায় বেরিয়ে এসেছিলেন, কীভাবে সম্পৃক্ত হলেন আন্দোলনের সাথে, কীভাবে ঝরল তাদের প্রাণ, এমনকি পরিবারের সদস্যদের সাথে শেষ দিনগুলোতে আন্দোলন নিয়ে কী কথাবার্তা হয়েছিল তাদের…
Read More
লেখক : সাজ্জাদ শরিফপ্রকাশনী : প্রথমা প্রকাশন মুক্তিযুদ্ধ ছাড়া জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের চেয়ে বড় ঘটনা বাংলাদেশের ইতিহাসে আর নেই। এ অভ্যুত্থানের নায়ক তরুণ ছাত্রছাত্রী এবং সারা দেশের সর্বস্তরের জনতা। এই আন্দোলন চলেছে রক্তাক্ত রাজপথে। আর এর শক্তি ছিল তরুণদের নতুন সাংস্কৃতিক অভিব্যক্তির মধ্যে—স্লোগানে, কাটুর্নে, পোস্টারে, গান ও র্যাপে, গ্রাফিতিতে। নানা ক্ষেত্র থেকে রাজপথে ও সংস্কৃতির আঙিনায় যাঁরা এ আন্দোলনে যুক্ত হয়েছিলেন, এই বই তাঁদের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার সাক্ষ্য। এ সাক্ষ্য নির্বাচিত, কিন্তু প্রতিনিধিত্বমূলক। এ বই জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক তৎপরতারও এক নথি। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকে বোঝার জন্য এ বইয়ের প্রয়োজন কখনো ফুরাবে না।
Read More