লেখক : মাহী ফারহানাপ্রকাশনী : বাবুইজুলাই গণঅভ্যুত্থান বিষয়ক বই, বাংলা কবিতাপৃষ্ঠা : 64, কভার : হার্ড কভার, সংস্করণ : 1st Published, 2025আইএসবিএন : 9789849256453, ভাষা : বাংলা
Read More
লেখক : আবু বকর সিদ্দিক প্রান্তরপ্রকাশনী : ঐতিহ্যপৃষ্ঠা : ১০৪সংস্করণ : ১ম প্রকাশ, ২০২৫ভাষা : বাংলাআইএসবিএন : ৯৭৮৯৮৪৫৯৭০৪৩৩ নামেই জানান দিচ্ছে এটা ঘাস, লতাপাতা, ফুল, কোমল প্রেম কিংবা রোমাঞ্চকর গল্পের আখ্যান নয়। এটা ২০২৪ গণঅভ্যুত্থানের দিনলিপি যা ছন্দ ও শব্দ ঝংকারে বাক্সময়। প্রতিটি কবিতায় জুলাই বিপ্লবের চিত্র, বারুদের গন্ধ, বন্দুকের ঠাস ঠাস শব্দ, রক্তের লাল রঙে আঁকা রাজপথ উঠে এসেছে। আন্দোলন যেমন ব্যাকরণ মেনে হয়নি তেমনি কবিতাগুলোও অনেক ব্যাকরণকে তোয়াক্কা করেনি। দেওয়ালে দেওয়ালে ফুটে থাকা অসংখ্য চিকামারা ও দেওয়াল লিখনের মতো এ কবিতাগুলো অভ্যুত্থানের স্মৃতিকে জিইয়ে রাখতে সহায়তা করবে এই আশাবাদ। এ সংকলনের একটি আকর্ষণের দিক হলো এখানে নেই কোনো প্রতিষ্ঠিত ও খ্যাত যশওয়ালা কবি। মাঠের কর্মী ও কবিরাই শব্দে ধারণ করার চেষ্টা করেছেন জুলাই বিপ্লবের ইলহাম। বিপ্লবী কবিকুলকে আহ্বান করে উত্তাল দিনগুলোতে লেখা। ‘কবি, রাজপথে কবিতা আঁকো’ শিরোনামে লেখা একটি কবিতার কিছু পঙ্ক্তি দিয়ে আলাপ শেষ করি: আজ রাজপথ খালি; জরুরি অবস্থা আর কারফিউতে সব ভীতু কবিদল, পদ্যকার, ছড়াকার ঘরে ঘুমুচ্ছে ঘোরে-বেঘোরে। কবিতা লিখতে না পারো, ঘরে বসে থেকো না, বের হয়ে যাও পথে-গলিতে, ফুটপাতে অথবা রাজপথে। পুরো রাজপথ যে তার শূন্য খাতা খুলে বসে আছে— আমার অপেক্ষায়, তোমার অপেক্ষায়। কখন তার পৃষ্ঠায় আমার পা দিয়ে এঁকে দিবো, তোমাদের পা দিয়ে এঁকে দিবে আমার সেই অমর কবিতাটি, তোমাদের সেই […]
Read More
লেখক : মেজর আব্দুল ওহাব মিনার (অব.)প্রকাশনী : ভিন্নমাত্রা প্রকাশনীপৃষ্ঠা : ১২৮সংস্করণ : ১ম প্রকাশ, ২০২৫ভাষা : বাংলাআইএসবিএন : ৯৭৮৯৮৪৬৭২০১২৯ চব্বিশের জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলাম । স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন করে আসছি কয়েক বছর ধরে। কাকরাইল, বিজয়নগর, পল্টন, শাহবাগ, শহীদ মিনার এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ- এই জায়গাগুলোর সব ইট পাথরের সাথে পরিচিতি এবং ঘনিষ্ঠতা। তরুণ প্রজন্মের ভিন্নধারার প্রতিবাদের সাথে একাত্মা হয়ে গেলাম। ফ্যাসিজম বিরোধী ছাত্র জনতার মিছিলের সারি দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হতে শুরু করল। স্বৈরাচারের লাল চোখ, বুলেটের আঘাত, ঘাম-রক্ত-লাশ কিছুই জনসমুদ্রের ঢেউ প্রশমিত করতে পারছে না। আহত ছাত্র-জনতার সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য হাসপাতালে হাসপাতালে ছুটে বেরিয়েছি। নিহত লাশের হিসেব মিলাতে ব্যর্থ হয়েছি কিন্তু থেমে যাইনি। বিলম্বে হলেও হিসাব মিলতেই হবে। এত সব ঘটনার সামান্য কিছু ছাপার অক্ষরে লিখে রাখলাম। আরো বিস্তারিত লেখার ইচ্ছা আছে। “জুলাই বিপ্লবের মনস্তত্ত্ব” গ্রন্থটি প্রকাশের ব্যাপারে ভিন্নমাত্রা প্রকাশনীর কর্ণধার মুহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ’র আন্তরিকতা ও সার্বিক সহযোগিতা আমাকে অভিভূত করেছে। মেজর আব্দুল ওহাব মিনার (অব.) ঢাকা
Read More
লেখক : মাইদুর রহমান রুবেলপ্রকাশনী : জাতীয়তাবাদী প্রকাশনা সংস্থাপৃষ্ঠা : ৮০সংস্করণ : ১ম প্রকাশ, ২০২৫ভাষা : বাংলাআইএসবিএন : ৯৭৮৯৮৪৩৩০৮০৫২ উৎসর্গ : জুলাই অভ্যুত্থানে নিহত ও আহত সকলের উদ্দেশ্যে
Read More
লেখক : ইকবাল আহমেদপ্রকাশনী : স্বরবর্ণ প্রকাশনীপৃষ্ঠা : ৮০সংস্করণ : ১ম প্রকাশ, ২০২৫ভাষা : বাংলাআইএসবিএন : ৯৭৮৯৮৪৩৫৭১৬৫৬ ‘গুলি করে লাশ নামানো লাগছে স্যার। গুলি করি, মরে একটা, আহত হয় একটা। একটাই যায় স্যার, বাকিডি যায় না। এইটাই হলো স্যার সবচেয়ে আতঙ্কের বিষয়।’ ওরাই জেন-জেড। দু’হাত প্রসারিত করে বুক পেতে দিয়েছিল পুলিশের বন্দুকের নলের সামনে। শহরে টহলদার পুলিশের বন্দুকের সীসা ঝাঁকে ঝাঁকে এসে ঝাঁঝড়া করে দিয়েছিল তাদের বুক। ওরা পালায়নি। বুক পেতে দিয়েছে, ফুটো করে দিয়েছে কলিজা। যেন বুক তার বাংলাদেশের হৃদয়। ওরা ছিল ঝঞ্চার মতো উদ্দাম, ঝর্ণার মতো চঞ্চল, বিধাতার মতো নির্ভয়। একেকজন তরুণের বুকে বিপ্লবের আগুন এমনভাবে দাউ দাউ করে জ্বলছিল, যা শেষমেশ স্বৈরাচার হাসিনার অবৈধ ক্ষমতার মসনদ পুড়িয়ে ছারখার করে ফেলেছিল। দেশপ্রেম যে কিরকম একটা মারাত্মক নেশার রুপ ধারণ করতে পারে, সেটা ওরা রীতিমতো প্রমাণ করে দিয়েছিল। পাবজি, ফ্রি-ফায়ারে ডুবে থাকা গোটা একটা তরুণ প্রজন্ম হঠাৎ সবকিছু ছেড়ে দিয়ে দেশের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিল। ফেসবুক বানিয়ে ফেলেছিল ওরা একাত্তরের স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্র। সারারাত নির্ঘুম কাটিয়ে দিত ফেসবুক স্ক্রল করে করে, দেশের কোথায় কি হচ্ছে, শুধু এসব খবর রাখার জন্য। দলে দলে রাজপথে নেমে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ, ‘আসছে ফাল্গুনে কিন্তু আমরা দ্বিগুণ হবো।’ তারা আর ধৈর্য্য ধরল না, ফাল্গুনের অপেক্ষা করল না; ফাল্গুন আসার আগেই বহুগুনে ফিরে এলো। বন্দুকের […]
Read More
লেখক : অনামিকা চৌধুরীপ্রকাশনী : উচ্ছ্বাস প্রকাশনীপৃষ্ঠা : ৪৮সংস্করণ : ১ম প্রকাশ, ২০২৫ভাষা : বাংলা বইটি ২৪ মার্চের গণঅভ্যুত্থান থেকে শুরু করে বাংলাদেশের রাজনৈতিক, সামাজিক ও মানবাধিকার পরিস্থিতিকে একটি ধারাবাহিক বর্ণনায় তুলে ধরেছে। শুরুর অধ্যায়গুলোতে (যেমন ‘২৪’এর গণঅভ্যুত্থান’, ‘দীর্ঘদিনের জমে থাকা ক্ষোভ’) জাতির মধ্যে গুঞ্জরিত ক্ষোভ, শাসনব্যবস্থা নিয়ে অসন্তোষ এবং জনগণের সংগ্রামের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরা হয়েছে। এরপর ‘মানবাধিকারের হরণ’, ‘পুলিশ ও প্রশাসন নির্ভর একটি দল’ ইত্যাদি অধ্যায়ের মাধ্যমে রাষ্ট্রযন্ত্রের দমন-পীড়ন এবং জনগণের অধিকারের সংকোচন বিষয়টি আলোচনা করা হয়েছে। ‘অর্থনীতির দৈন্যদশা’র মতো অধ্যায়গুলোতে দেশের আর্থিক চিত্র এবং ‘বাকস্বাধীনতা রুখতে পারেননি হাসিনা’ ও ‘জুলাই গণহত্যার আদ্যোপান্ত’ অধ্যায়গুলোতে রাজনৈতিক শাসনের সীমাবদ্ধতা ও নিষ্ঠুরতাগুলো বিশ্লেষণ করা হয়েছে। ‘গণহত্যা’, ‘শহীদদের নতুন শব্দে নতুন ধারা’ ও ‘৩৬ জুলাইয়ের প্রেক্ষাপট’ অংশগুলোতে পাঠক পাবেন একটি গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক সময়ের বাস্তবতা, যেটি ভবিষ্যতের জনমত ও গণতান্ত্রিক চেতনার রূপরেখা আঁকে। বইয়ের শেষদিকে ‘শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে যত অভিযোগ’ ও ‘জালের করুণ পরিণতি’ অধ্যায়গুলো বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থা এবং নেতৃত্ত্বের জবাবদিহিতার প্রসঙ্গকে কেন্দ্র করে গঠিত। উপসংহার: এই বইটি কেবল একটি ঘটনাবহুল দিনের রেকর্ড নয়, বরং একটি শাসনব্যবস্থার মূল্যায়ন, একটি জাতির আশা-নিরাশার বিবরণ এবং ভবিষ্যতের জন্য একটী রাজনৈতিক চেতনার দলিল। সাংবাদিকতা ও গবেষণার পাঠকদের জন্য এটি একটি সময়োপযোগী এবং গুরুত্বপূর্ণ বই।
Read More
লেখক : বাকী বিল্লাহপ্রকাশনী : জাগতিক প্রকাশনপৃষ্ঠা : ২৪৮সংস্করণ : ১ম প্রকাশ, ২০২৫আইএসবিএন : ৯৭৮৯৮৪৯৯৭২৭০৯ভাষা : বাংলা ‘তোমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে’-এমন একটি সংস্কৃতি বহন করে চলেছে বাংলাদেশের মানুষ। নিরাপদ নিশ্চিন্ত ঘুম, অবাধ কর্মসংস্থানের সুযোগ, জ্ঞানগর্ভ শিক্ষার সম্প্রসারণ, আধুনিক কৃষি উৎপাদন ব্যবস্থা এবং দায়িত্বশীল প্রশাসনিক কাঠামো দেশের মানুষকে স্বস্তির নিঃশ্বাস এনে দিতে পারে। যা কেবলমাত্র সঠিক নেতৃত্বের মাধ্যমেই সম্ভব। স্বাধীন বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় হলফ করে বলা যায় না যে, এখানে একটি সঠিক নেতৃত্ব গড়ে উঠেছে। যদিও কোনো কোনো ক্ষণজন্মার আবির্ভাব আমাদের আশান্বিত করেছিল, তবে টেকসই হতে পারে নি। অনুভূতির খুব ধারালো ক্ষুর প্রয়োগ করলে দেখা যাবে যে গত তেপ্পান্ন বছরে এমন কোনো রাজনৈতিক নেতার জন্ম হয়নিÑ যিনি পাঠ্যপুস্তকের অন্তর্ভুক্ত হয়ে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের আদর্শের উৎস হতে পারে।
Read More
লেখক : মুমতাহিনা মিজানপ্রকাশনী : পাতা প্রকাশনীপৃষ্ঠা : ৬০সংস্করণ : ১ম প্রকাশ, ২০২৫আইএসবিএন : ৯৭৮৯৮৪৯৯৮০৫৭৫ভাষা : বাংলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেয় দেশের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ১৬ জুলাই যখন রংপুরে আবু সাঈদ শহীদ হন, তখন সেই ভিডিও সারাদেশের মানুষকে উত্তেজিত করে তোলে। তারপর প্রায় পুরো দেশ ক্রোধে ফুঁসে উঠে । আন্দোলনে যোগ দেয় দেশের সকল শ্রেণি পেশার ছাত্র-জনতা। উত্তাল হয়ে উঠে সারা দেশ। সরকার নির্মমভাবে গুলি করে দেশে সাধারণ জনতার উপরে। কিন্তু স্বৈরশাসক হাসিনার পতন না হলে যেন এই আন্দোলন থামবে না। মুমতাহিনাও ঘরে বসে থাকতে পারেনি। সে যোগ দেয় আন্দোলনে। গুলি লাগতে পারতো তার শরীরেও। হয়ত অনেকের মতো সেও আর না ফিরতে পারতো। সে ফিরে এসেছে। কিন্তু আমরা হারিয়েছি অনেক সন্তান, রিকশাওয়ালা, সিএনজিওয়ালা, গার্মেন্টস শ্রমিক মারা যায় এই আন্দোলনে। বাসায় থাকা ৬ বছরের শিশুর গায়েও গুলি এসে লাগে, নিহত হয় অসংখ্য শিশু-কিশোর। মুমতাহিনা এই আন্দোলনে অংশ নেয়ার প্রতিদিনের ঘটনাগুলো তার ডায়রিতে লিপিবদ্ধ করে। সেই লেখাগুলো দিয়ে প্রকাশিত হলো বই ১৫ থেকে ৩৬। একটি স্বাধীন সুন্দর বাংলাদেশের চেয়ে বেশি কিছু তার চাওয়া নেই। এর আগে মুমতাহিনার টাইম মেশিন নামে একটি সায়েন্স ফিকশন বই পাতা প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হয়। বইটা পাঠক সমাজে ব্যপক সাড়া ফেলে।
Read More