ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান ২০২৪

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান ২০২৪

লেখক: আহমদ মতিউর রহমান


ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান ২০২৪

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের জন্য ৫৬ পারসেন্ট কোটা আর ৪৪পারসেন্ট মেধাবীদের জন্য বরাদ্দ ছিলো। ২০১৮ সালে ছাত্ররা কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করেছিলো। আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার ছাত্রদের দাবিকৃত সংস্কার না করে কোটা বাতিল করে দিয়ে পরিপত্র জারি করেছিলো। ঐ পরিপত্রের মাধ্যমে সরকারি চাকরিতে নবম গ্রেড (পূর্বতন প্রথম শ্রেণি) এবং ১০ম -১৩তম গ্রেডের (পূর্বতন দ্বিতীয় শ্রেণি) পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে বিদ্যমান সকল কোটা বাতিল করা হয়েছিলো। এটা কিন্তু ছাত্ররা চায়নি। তারা চেয়েছিলো সংস্কার, বাতিল চায়নি। বাতিল করে দিয়ে সংকটের বীজ রেখে দেয়া হয়েছিলো। আর সেটারই প্রকাশ ঘটে ২০২৪ সালের ৫ জুন কোর্টের আদেশের মধ্যদিয়ে।

কোটা সংস্কার আন্দোলন এক সময়ে সরকার পতনের এক দফায় গড়ায় আর তা হয়ে ওঠে রক্ত¯পাত। এত রক্তপাত নিকট অতীতে দেখেনি বাংলাদেশ। পরের অধ্যায় গুলোতে এই আন্দোলন, তার পটভূমি ও রক্তপ্লাবী দিনগুলোর বিবরণ তুলে ধরা হবে।

গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত একটি সরকার/ক্ষমতাসীন দল স্বৈরাচারী হয়ে উঠতে পারে, যেমনটা ঘটেছিলো জার্মানিতে ন্যাৎসিদের বেলায়। বাংলাদেশের তা দেখা গেল। জনগণকে শোষণ-নির্যাতনের কোনো পন্থাই তারা বাদ রাখে না। নির্যাতনমূলক সকল ব্যবস্থ গুম, খুন ও গোপন কারাগার আয়নাঘর তার নজির। কিন্তু শেষটা কখনোই ভালো হয় না। আমি বাংলাদেশের ৫৩ বছরের ঘটনাবলির পর্যবেক্ষণ ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ, ১৯৮২/৮৩-র ছাত্র আন্দোলন, ৯০-র এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে যুক্ত থেকে প্রত্যক্ষ করেছি। ১৯৮২-র মধ্য ফেব্রুয়ারি এক পর্যায়ে জেলেও যেতে হয়েছে। সব অভিজ্ঞতা ও পর্যবেক্ষণের ফল এই বই।

Sorry, the comment form is closed at this time.