লেখক: রিদওয়ান নোমানী
ঘুমের মধ্যেও গুলিবিদ্ধ হওয়ার দিনে-কবিতার মুখোমুখি হতে গিয়ে দেখেছি কবিতা আর ভীত-সন্ত্রস্ত নেই, কবিতারা আমার মতোই সাহসী। এক একটি শব্দ বিজয় ছিনিয়ে আনতে তৎপর। কবিতা মনের খোরাক, তাই মনের আঙিনায় তারাও করেছে অভ্যুত্থান। সংগ্রাম থেকে ফেরা রাতগুলোতে কবিতারা দখলের আকাক্সক্ষায় ঝাপিয়ে পড়ত। যেন এখনই সময় সুতীব্র উচ্চারণের। আমি সংগ্রামের সাহসী যোদ্ধা, আমার সাহস আর ক্রোধকে ধারণ করতে চাইত কবিতা। চার শতাধিক পুলিশের তাক করা বন্দুকের সামনে হাঁটু গেড়ে বসতে গিয়ে একজন কবিকে দেখি। কবির চোখের সন্ত্রাসে ভীত-সন্ত্রস্ত বন্দুক কীভাবে থতমত খায়!
সংগ্রামের কবিতা দেখতে কেমন, এসব আমি কিছুই বলব না। আমি বলব যোদ্ধাদের সাহসী উচ্চারণই কবিতা। ‘পিছনে পুলিশ, সামনে স্বাধীনতা!’ মাঠের সেøাগানগুলোই এক একটি কবিতা। তারপরও কবিতার যেহেতু একটি গোত্র, বর্ণ আছে। তাকে শাসন করার জন্য একজন কবি আছে। তাই দেখতে চেয়েছি বা দেখাতে চাচ্ছি এ সময়ের কবিতারা কীভাবে সংগ্রামের সামনে দাঁড়িয়েছে? ‘হারগুঁজি’ দক্ষিণাঞ্চলের একটি কাঁটাযুক্ত পাতার নাম। এর আক্ষরিক অর্থ গলার কাঁটা, যা আমার বৈশিষ্টকেই ধারণ করে। দুই বছর আগে ‘হারগুঁজি’ কবিতার ছোটকাগজ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। যদিও গত দুই বছরে আর কোনো সংখ্যা বের হয়নি। এবার হারগুঁজি তার স্ব কাজে ফিরে এসেছে। সংগ্রামের সময় লেখা কবিতা অর্থাৎ ‘৩৬জুলাই গণঅভ্যুত্থান সংখ্যা’টি তারই নমুনা।
Sorry, the comment form is closed at this time.