- ১৫ জুলাই মধ্যরাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মিছিলকারীরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১৪ জুলাইয়ের সংবাদ সম্মেলনের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানাতে আবাসিক হলগুলো থেকে বেরিয়ে আসে। তারা ‘তুমি কে আমি কে – রাজাকার, রাজাকার’, ‘কে বলেছে কে বলেছে- সরকার সরকার’, ‘চাইতে গেলাম অধিকার- হয়ে গেলাম রাজাকার’, এবং ‘কোটা না মেধা- মেধা মেধা’ এ ধরনের শ্লোগান দিয়ে মিছিল করে। কয়েকটি ক্যাম্পাসে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।
- এদিন আন্দোলনে ঢাকার প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ব্যাপকভাবে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়। তারা রামপুরা, বাড্ডা, সায়েন্সল্যাবসহ রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে সড়ক অবরোধ করে।
- আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত যেসব শিক্ষার্থী নিজেদের ‘রাজাকার’ বলে স্লোগান তুলেছে, তাদেরকে মোকাবেলায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগই যথেষ্ট বলে মন্তব্য করেছেন। এটিই সরকারের এবং সরকারি দলের শীর্ষ পর্যায়ের কোনো ব্যক্তির আন্দোলনে সরাসরি রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের প্রথম ইঙ্গিত। এর পরই ছাত্রলীগ এবং আওয়ামী লীগের অন্যান্য অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীকে আন্দোলনকারীদের বিপরীতে মারমূখী অবস্থান নিতে দেখা যায়।
- ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতি ইঙ্গিত করে ঘোষণা দেন, “বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এটিকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুত। সাংগঠনিক ও রাজনৈতিকভাবে আমরা এটাকে মোকাবিলা করব। যারা আজকেও বাংলাদেশে থেকে ‘আমি রাজাকার’ বলার হিম্মত রাখে, আমরা তাদের দেখে নেব।”
- এপর্যায়ে অর্থাৎ ১৫ জুলাই থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের অধিকারের আন্দোলন অপ্রত্যাশিত রাজনৈতিক হস্তক্ষেপে সংঘাতে রূপ নেয় এবং একটি অননুমেয় পরিণতির দিকে ধাবিত হয়।
সোমবার ১৫ জুলাই, ২০২৪
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিবাদ, ‘রাজাকার’ স্লোগান এবং ছাত্রলীগের হুমকি
BDvictoryJuly 15, 2024টাইমলাইন0 comments
0
Sorry, the comment form is closed at this time.